অবশেষে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে নিজেরাই একটু কঠিনই করে ফেলেছিল ম্যাচটা। দলের এ অবস্থায় ২৭৯ রান তাড়া করা সহজ ছিল না, তা–ও আবার ৪১.১ ওভারে। রান রেটের এই হিসাব মেলাতে পারাটা নিশ্চয়ই কাজে আসবে। টসে জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল, তা দ্বিতীয় ইনিংসে কুয়াশাচ্ছন্ন মাঠ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। এই ম্যাচে বাংলাদেশকে চেনা রূপে দেখে স্বস্তি পেলাম। আশা করি, এই জয়ে অর্জিত আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশকে আগামী দিনে আরও সফলতা এনে দেবে।
ওর ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু আবারও হতাশ করল। বোঝা গেল, এই পর্যায়ে খেলতে হলে তাকে আরও তৈরি হয়ে আসতে হবে। আশা করি, ও প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা পাবে।
আজকাল সোজা বল বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লিটনের প্যাডে আঘাত করছে। এটার একটা সমাধান বের করা প্রয়োজন। শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল, একটা বড় স্কোর আসবে ওর ব্যাট থেকে। ক্যাচিংয়ের জন্য ১ বোনাস।
শেষ পর্যন্ত দারুণ একটা ম্যাচ উইনিং ইনিংস। এই ৯০ রান আমার চোখে শতকের চেয়েও বেশি।
‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেটের পাশাপাশি চারে নেমে অত্যন্ত সাহসী ইনিংস খেলল।
শেষের দিকে এই ইনিংস না খেললে বাংলাদেশ বিপদে পড়তে পারত। ভালো বলে আউট হয়েছে।
শরীফুলের প্রথম উইকেটপ্রাপ্তিতে মুশফিকের কৃতিত্বও কম নয়। দারুণ ক্যাচ ছিল সেটি। তবে উচিত ছিল ব্যাট হাতে ম্যাচ শেষ করে আসা। অসাধারণ ক্যাচের জন্য ২ বোনাস।
যেভাবে খেলছিল তাতে যেকোনো সময় আউট হতে পারত। তবে ক্যামিওটি প্রয়োজন ছিল।
আঁটসাঁট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডি সিলভার উইকেটপ্রাপ্তি। তবে আউটের ধরনটা হতাশাজনক।
১০ ওভারে ৮০ রান বলতে যেটা বোঝায়, ও আসলে তার চেয়ে অনেক ভালো বল করেছে। উইকেট নেওয়ার ক্ষুধা ও সক্ষমতা দুটিই আছে। অভিজ্ঞতা তাকে নিশ্চয়ই আরও পরিণত করবে। ব্যাট হাতে সক্ষম, আবার দেখিয়ে দিল।
চমৎকার ব্যাটিং উইকেটে তাসকিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিং শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলতে দেয়নি। এই বোলিং তার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
প্রথম উইকেট নেওয়ার মধ্য দিয়ে দলকে প্রয়োজনীয় মোমেন্টাম এনে দিয়েছে। বোলিং সন্তোষজনক। দারুণ ক্যাচের জন্য ১ বোনাস।