পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৫১ বার ইনিংস উদ্বোধন করেছেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৫১ ইনিংসে দুজনের জুটি থেকে এসেছে ২৪০০ রান, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ। গড়েছেন ৮টি শতরানের জুটি। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শতরানের জুটি (৪টি) এসেছে রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের ওপেনিং জুটি থেকে।
কিন্তু চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজে পাকিস্তান সফল এই ওপেনিং জুটি থেকে সরে এসেছে। বাবরকে নামিয়ে আনা হয়েছে তিন নম্বরে। টপ অর্ডারে পরিবর্তন আনা পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে প্রথম তিন ম্যাচেই। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও পিসিবির প্রধান রমিজ রাজা নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তাই প্রশ্ন তুলেছেন, ওপেনিং জুটিতে বাবর-রিজওয়ানকে আলাদা করে কী লাভ হয়েছে?
বাবর–রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি থেকে পাকিস্তান প্রায় ৪৯ গড়ে রান পেয়েছে। তবে এই জুটির স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন অনেক দিনের। সে কারণেই বাবর অধিনায়কত্ব থেকে সরার পর নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাবরের জায়গায় সাইম আইয়ুবকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮ বলে ২৭ রান করা সাইম পরের দুই ম্যাচেই হয়েছেন ব্যর্থ। রিজওয়ানও রান পাননি। তবে বাবর তিন নম্বরে নেমে তিন ম্যাচেই পেয়েছেন অর্ধশতক।
নতুন ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হওয়ায় নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ বলেছেন, ‘বাবর–রিজওয়ানের জুটি ভাঙার জন্য অনেক চাপ তৈরি করা হয়েছে। নতুন খেলোয়াড় যখন আপনি নিয়ে আসেন, তারা হয়তো লিগে পারফর্ম করতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভিন্নরকম, এখানে চাপ আছে, সারা বিশ্বের নজর থাকে আপনার দিকে। আপনি এমন একটি ওপেনিং জুটি ভেঙে দিলেন, যেটা পুরো দুনিয়ায় বিখ্যাত। ওপেনিং জুটি গড়তে সময় লাগে। এটা সহজ কোনো কাজ নয়। সুতরাং যদি আপনার কাছে এমন একটা জুটি থাকে এবং তারা আপনাকে সব সময় ম্যাচে রাখে, সেই জুটি ভেঙে কী লাভ হয়েছে আপনার?’
পিসিবির প্রধান থাকার সময়ে বাবরকে বরাবরই সমর্থন দিয়ে এসেছেন রমিজ। এমন দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরও তিনি বাবরের পাশে ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, আমি বাবরকে সমর্থন দিয়েছি। আমি সব অধিনায়ককেই সমর্থন করতাম; কারণ, এই খেলায় অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় সবকিছুতে। সেটা মাঠে ও মাঠের বাইরে।’