বল হাতে তানজিম সাকিব দিয়েছেন ১০ ওভারে ৬৫ রান। উইকেট নিয়েছেন ১টি। শরীফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ৯ ওভারে ৪৯ রান করে দিয়ে দুজনেই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
তবে দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ২৮৬ রান করেও তাই বাংলাদেশ হেরেছে ৩ উইকেটে। এরপরও বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট তানজিম। এই পেসারের যত আক্ষেপ, তার সবটাই নিজের ব্যাটিং নিয়ে।
তানজিম গতকাল যখন ক্রিজে আসেন, বাংলাদেশের রান তখন ৬ উইকেটে ১৮৯। ওভার বাকি ১৪.১। স্বাভাবিকভাবেই তানজিম তখন রয়েসয়ে খেলে ক্রিজে থাকা অন্য ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। তবে ইনিংসের ৪৭তম ওভারে বড় শট খেলতে গিয়ে ৩৩ বলে ১৮ রান করে আউট হন তানজিম। নিজের শটে নিজেই খুশি নন এই বোলিং অলরাউন্ডার।
বিসিবি প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় এই পেসার বলেছেন, ‘যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছি, তখন চেষ্টা ছিল হৃদয় ভাইকে সহায়তা করব। শেষের দিকে আক্রমণাত্মক হব। আমি হৃদয় ভাইকে সাপোর্ট করছিলাম, তবে আমি যে শটটা খেলে আউট হয়েছি, সেটাতে সন্তুষ্ট নই। আমার কাছে মনে হয়, আমি আরও দুই ওভার হৃদয় ভাইকে সাপোর্ট দিয়ে শেষ দুই ওভারে আগ্রাসী হলে দলের রান আরও বেশি হতে পারত। দলের জন্য আরেকটু ভালো অবদান রাখতে পারতাম।’
২৮৭ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর বাংলাদেশ ৪৩ রানেই শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেট তুলে নেয়। এরপর পাতুম নিসাঙ্কা ও চারিত আসালাঙ্কা ১৮৩ বলে ১৮৫ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। তানজিমও মনে করেন, এই জুটির কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ, ‘কাল উইকেট তুলনামূলক ভালো ছিল। শেষের দিকে একটু শিশির পড়ছিল। বল ব্যাটে খুব সহজে যাচ্ছিল। ওই একটা জুটি খেলাটকে একটু কঠিন করে দিয়েছে। ব্রেকথ্রুর আশা করছিলাম, নিসাঙ্কা ও আসালাঙ্কা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা ডিফেন্ড করতে পারতাম, যদি ওই সময়ে একটা উইকেট নিতে পারতাম।’
বোলারদের প্রশংসা করে তানজিম বলেছেন, ‘প্রথম ওয়ানডেতে বোলাররা অনেক ভালো বোলিং করেছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও চেষ্টা অনেক ভালো ছিল। তাসকিন ভাই, শরীফুল ভাই, মেহেদী ভাই—সবাই অনেক চেষ্টা করেছেন। বোর্ডে যে রান ছিল, তা ডিফেন্ডের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বোলারদের চেষ্টা অনেক ভালো ছিল।’
সিরিজ–নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে আগামী সোমবার। এই ম্যাচে শিশিরের বিড়ম্বনায় পড়বে না কোনো দল। খেলা শুরু সকাল ১০টায়। সেই ম্যাচে জয়ের আশা করছেন তানজিম, ‘মাঠে নামব জেতার জন্য। আমরা চাইব, এই সিরিজে যেন জয়ী হতে পারি। গত ম্যাচে আমাদের একটা সুযোগ ছিল, আমরা নিতে পারিনি। শেষের ম্যাচটা জয়ের জন্য চেষ্টা করে যাব। ডে ম্যাচে বোলাররা শতভাগ দিতে পারব। দুই দলের জন্যই সমান হবে। উইকেটের কন্ডিশন, আউটফিল্ড বলেন, দুই দলই সমানভাবে পাবে। বোলাররা ভালো জয়গায় বল করতে পারলে পিচ থেকে সাপোর্ট পাবে। কন্ডিশন থেকে সাপোর্ট পাবে।’