১৪—এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমানের উইকেটসংখ্যা এটি। এর চেয়ে বেশি উইকেট এখনো কেউ নিতে পারেননি। ১৪ উইকেটের মালিক অবশ্য একা মোস্তাফিজ নন, মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের যশপ্রীত বুমরা আর পাঞ্জাব কিংসের হার্শাল প্যাটেলের সমান সংখ্যক উইকেট আছে।
যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনজন হলেও পার্পল ক্যাপ একটিই। আর সেটি এখন বুমরার মাথায়। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, বুমরার সমান উইকেট পেয়েও মোস্তাফিজ কেন পার্পল ক্যাপ পাননি? বুমরা ও হার্শালের চেয়ে ম্যাচ কম খেলেই মোস্তাফিজ তাঁদের সমান উইকেট নিয়েছেন। দুই ভারতীয় বোলারের যেখানে ১৪ উইকেট নিতে ৯ ম্যাচ খেলতে হয়েছে, মোস্তাফিজ ৮ ম্যাচেই তাঁদের ছুঁয়ে ফেলেছেন। তবু কেন মোস্তাফিজ পার্পল ক্যাপের মালিক নন?
আইপিএলে বোলারদের পার্পল ক্যাপ জেতার প্রধান মানদণ্ড উইকেটসংখ্যা। একাধিক বোলার সমানসংখ্যক উইকেট পেলে ম্যাচ বা স্ট্রাইক রেট দেখা হয় না। বিবেচনায় নেওয়া হয় ইকোনমি, অর্থাৎ ওভারপ্রতি কে কেমন রান দিয়েছেন। ঠিক এ জায়গাতেই বুমরার চেয়ে পিছিয়ে মোস্তাফিজ। মুম্বাইয়ের বুমরা এখন পর্যন্ত ৩৬ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৩৯ রান, ওভারপ্রতি ৬.৬৩ করে। আর মোস্তাফিজ ৩০.২ ওভারে ২৯৬ রান দিয়েছেন ৯.৭৫ ইকোনমিতে।
পাঞ্জাবের হার্শাল অবশ্য রান দিয়েছেন আরও বেশি হারে—ওভারপ্রতি ১০.১৮ করে। সব মিলিয়ে পার্পল ক্যাপের লড়াইয়ে বুমরা এখন এক নম্বরে, মোস্তাফিজ দুই আর হার্শাল তিন নম্বরে।
আইপিএলে টুর্নামেন্ট চলাকালে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির মাথায় থাকে পার্পল ক্যাপ। আর ফাইনাল ম্যাচের পর যাঁর উইকেট সবচেয়ে বেশি, তিনি হয়ে যান পার্পল ক্যাপের আসল জয়ী। ২০১৩ ও ২০২১ আইপিএলে সর্বোচ্চ ৩২ উইকেট করে পেয়েছিলেন ডোয়াইন ব্রাভো ও হার্শাল। কিন্তু নিয়মানুযায়ী দুজনের মধ্যে তুলনায় ইকোনমিতে পিছিয়ে থাকেন হার্শাল।
এবারের আসরে মোস্তাফিজ অবশ্য পার্পল ক্যাপের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত থাকছেন না। আগামী ১ মে চেন্নাই–পাঞ্জাব ম্যাচের পরই বাংলাদেশে ফিরে আসবেন মোস্তাফিজ। ৩ মে চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের দলে না থাকলেও শেষ দুই ম্যাচে থাকতে পারেন তিনি।
ফেরার আগে মোস্তাফিজ আইপিএলের এক মৌসুমে নিজের সর্বোচ্চ উইকেট নিতে পারেন কি না, দেখার আছে। ২০১৬ আসরে ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, যা এখন পর্যন্ত তাঁর টুর্নামেন্ট–সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন ২০১৪ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। এবার চেন্নাইয়ের হয়ে সেটা ৮ ম্যাচেই ছুঁয়ে ফেলেছেন।