২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ ছিলেন কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। এরপর আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঞ্জাব কিংসের কোচিং প্যানেলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে দেশে ফিরে গিয়ে প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের সহকারী কোচ এবং পরে প্রধান কোচ হন।
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লুআই) সঙ্গে ওয়ালশের চুক্তির মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। ক্যারিবিয়ান টেস্ট ও ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ইচ্ছা নেই বোর্ডের। শুধু ওয়ালশই নন, তাঁর দুই সহকারী রবার্ট স্যামুয়েলস ও কোরি কোলিমোরকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে সিডব্লুআইয়ের ক্রিকেট পরিচালক জিমি অ্যাডামস বলেছেন, ‘গত আড়াই বছর দলের জন্য অবদান রাখায় কোর্টনি (ওয়ালশ) ও তাঁর সহকারী দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁদের ভবিষ্যৎ পথচলা সুন্দর হোক। শুভকামনা।’ শিগগিরই নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন অ্যাডামস, ‘নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন নতুন প্রধান ও সহকারী কোচ নিয়োগে কাজ করছি। নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ কাজ করবেন।’
২০২০ সালের অক্টোবরে গাস লজির জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের প্রধান কোচ হন ওয়ালশ। আড়াই বছরে তাঁর সেরা সাফল্য বলতে গত বছর দলকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তোলা। তবে সামগ্রিকভাবে তাঁকে ব্যর্থই বলতে হয়।
ওয়ালশের অধীনে ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলে মাত্র ৭টিতে জিতেছে ক্যারিবীয় নারী দল, ৩২ ওয়ানডেতে জয় ১১টি। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হয়েছে ভরাডুবি। গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার পথে পাকিস্তান (৩ রানে) ও আয়ারল্যান্ডের (১ বল বাকি রেখে) বিপক্ষে টেনেটুনে জিতেছে। তা ছাড়া ড্রেসিংরুমের পরিবেশ উপযোগী নয়—এমন অভিযোগ তুলে তারকা অলরাউন্ডার ডিন্ড্রা ডটিনের আচমকা অবসরেরও ঘোষণায় ওয়ালশের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করতে বড় প্রভাবক হয়েছে।
কোচিংয়ে ওয়ালশের হাতেখড়ি হয়েছিল বাংলাদেশকে দিয়েই। ২০১৬ সালের আগস্টে বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বিসিবির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে মাশরাফি–মোস্তাফিজদের ছেড়ে যান এই ক্যারিবীয় কিংবদন্তি।