শারজায় আজ প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মুখোমুখি আফগানিস্তান।
তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম
শারজায় সিরিজের প্রথম ম্যাচ আজ। পিচ রিপোর্টে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার কথা বলেছেন। আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিও করেছেন সেটাই। টসে জিতে নিয়েছেন ব্যাটিং। হাশমতউল্লাহ আশা করছেন, ফ্লাডলাইটের নিচে দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা যাবে টার্ন।
বাংলাদেশ–আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ভেন্যু হিসেবে ৩০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করবে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
উইকেট থেকে বেরিয়ে ড্রাইভ খেলতে চেয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে তাসকিনের ফুল লেংথের বল এজ হয়ে চলে যায় উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে।
২ ওভারে আফগানিস্তানের রান ১ উইকেটে ৭।
৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৯ রান তুলেছে আফগানিস্তান। অভিষিক্ত আতাল অপরাজিত ১২ রানে, রহমত শাহ ৫ রানে।
আবারও উইকেটের পেছনে ক্যাচ!
লেন্থ বল থেকে আবারও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়েছেন রহমত। ১৩ বলে ২ রান করে আউট হলেন।
ক্রিজে সেদিকউল্লাহ আতালের নতুন সঙ্গী হাশমতউল্লাহ শহীদি।
আফগানিস্তান: ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৩৪।
এবার শিকার ওয়ানডে অভিষিক্ত ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতাল।
১০ম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টাম্প বরাবর একটু সামনের লেংথে বল করেছিলেন মোস্তাফিজ। আতাল ব্যাটে খেলতে গিয়ে পানননি। মোস্তাফিজের এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেননি আতাল।
ক্রিজে হাশমতউল্লাহর নতুন সঙ্গী আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
সেদিকউল্লাহ আতালকে ফেরানোর দুই বল পরই আবারও উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ। এবার শিকার আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
ভালো লেংথ থেকে কাটার মেরেও বল তুলেছিলেন মোস্তাফিজ। আজমতউল্লাহ দ্বিধা নিয়ে ব্যাটে খেলার চেষ্টা করেছিলেন, সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল! বল তাঁর ব্যাটের কানা নিয়ে সোজা উইকেটকিপার মুশফিকের গ্লাভসে।
নিজের প্রথম ওভারে রহমতকে ফেরানোর পর দ্বিতীয় ওভারে আরও দুটি উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ। তাঁর সামনে রীতিমতো কাঁপছে আফগানিস্তান।
ক্রিজে হাশমতউল্লাহর নতুন সঙ্গী গুলবদিন।
আফগানিস্তান: ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের উইকেটকিপারদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচটি ডিসমিসালের কীর্তি মুশফিকুর রহিম ও খালেদ মাসুদের। মুশফিক এর মধ্যে দুবারই পাঁচটি ক্যাচ নিয়েছেন। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে এবং ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
আজ এ পর্যন্ত আফগানিস্তানের ৪টি উইকেটের মধ্যে তিনটিতেই ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক। আরও তিনটি ডিসমিসাল করতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
আফগানিস্তান: ১১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৭।
১৪তম ওভারে মোস্তাফিজকে মিড অন দিয়ে চার মেরে দলীয় সংগ্রহ ৫০ পূর্ণ করেন হাশমতউল্লাহ।
আফগানিস্তান: ১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৫০। হাশমতউল্লাহ ১০ রানে অপরাজিত, গুলবদিন ৯ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছেন।
১৮তম ওভার শেষে বোলিংয়ে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে নিয়ে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল। এর আগে আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ওভারে ৭ রান দিলেও উইকেট পাননি।
আফগানিস্তান: ১৮ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৯।
২০তম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে বলটা তুলেছিলেন তাসকিন। ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি গুলবদিন নাইব। মিডউইকেটে তানজিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩২ বলে ২২ রান করে। এর মধ্য দিয়ে পঞ্চম উইকেটে হাশমতউল্লাহর সঙ্গে তাঁর ৩৬ রানের জুটিও ভাঙল।
ক্রিজে হাশমতউল্লাহর নতুন সঙ্গী মোহাম্মদ নবী।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ৭১।
২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে রিশাদের বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। হাশমতউল্লাহ ডিফেন্স করেও বল ব্যাটে পাননি। উইকেটকিপার মুশফিক পেছন থেকে জোরাল আবেদন করেন। ক্রিজে আশপাশে থাকা অন্যান্য ফিল্ডাররাও আবেদন করলেও আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেন অধিনায়ক নাজমুল। ভিডিও রিপ্লেতে বল ও ব্যাটের মধ্যে ফাঁকটা স্পষ্ট দেখা গেছে। একটি রিভিউ নষ্ট হলো বাংলাদেশের। বাকি আছে একটি রিভিউ।
আফগানিস্তান: ২৩ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৮৭।
২৬তম ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১০০। ২১ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্বমদ নবী। ২৫ রানে অপরাজিত হাশমতউল্লাহ।
শারজা স্টেডিয়ামের ছাদ পেরিয়ে বল গিয়ে পড়েছে একদম রাস্তায়! ১০২ মিটারের বিশাল ছক্কা মারলেন নবী। বোলার রিশাদ। ২৭তম ওভারে দ্বিতীয় বলটি ফুল লেংথে পড়লে লং অন দিয়ে বিশাল এই ছক্কা মারেন নবী।
আফগানিস্তান: ২৭ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১১১।
২০তম ওভারে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৫৭ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আফগানিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন নবী ও হাশমতউল্লাহ জুটি।
হাশমতউল্লাহ ৩৭ ও নবী ৩৩ রানে ব্যাট করছেন।
আফগানিস্তান: ৩০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১২৪।
৩৬তম ওভারে দলীয় ১৫০ রান পেরিয়ে গেল আফগানিস্তান। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আফগানিস্তানকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন নবী ও হাশমতউল্লাহ।
আফগানিস্তান: ৩৬ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫২।
৩৭তম ওভারে রিশাদের বলে ২ রান নিয়ে ওয়ানডেতে নিজের ১৭তম ফিফটি তুলে নিলেন নবী। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম এবং শারজায় এটি তাঁর তৃতীয় ফিফটি।
ফিফটি তুলে নেওয়ার পরের বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন নবী। বল অনেকক্ষণ বাতাসে ভাসলেও লং অফ থেকে দৌড়ে গিয়েও তালুবন্দী করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ক্যাচ নিতে তিনি বলের ফ্লাইট বুঝতে পেরেছিলেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে পারে।
আফগানিস্তান: ৩৭ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৭।
৩৯তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ১ রান নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি তুলে নেন হাশমতউল্লাহ। নবীর সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৯৫ রানের জুটি গড়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
আফগানিস্তান: ৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৭০।
৪১তম ওভারে মোস্তাফিজের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন হাশমতউল্লাহ। বোল্ড! ৯২ বলে ৫২ রান করে আউট হলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে নবীর সঙ্গে তাঁর ১০৪ রানের জুটিও ভাঙল। ম্যাচে মোস্তাফিজের এটি চতুর্থ উইকেট।
৬৬ রানে অপরাজিত নবীর সঙ্গে ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান রশিদ খান।
আফগানিস্তান: ৪১ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৭৯।
উইকেট নেওয়ার খাতায় নাম লেখালেন শরীফুল ইসলামও।
৪৩তম ওভারে শরীফুলের বলে মিড উইকেটে মোস্তাফিজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রশিদ খান। ১০ রান করে আউট হলেন তিনি।
আফগানিস্তান: ৪৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯।
৪৬তম ওভারে দলীয় সংগ্রহ ২০০ হলো আফগানিস্তানের। উইকেট পড়েছে ৭টি। নবী ৭৭ রানে অপরাজিত। ২ রানে অন্য প্রান্তে নাগেয়ালিয়া খারোতে।
৮৪ রান করে সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন মোহাম্মদ নবী। কিন্তু ৪৮তম ওভারে তাসকিনকে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন। ৭৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে দারুণ এক ইনিংস খেললেন নবী।
পরের বলে গাজানফারকেও বোল্ড আউট করেন তাসকিন। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তাসকিনের সামনে। কিন্তু পারেননি।
আফগানিস্তান: ৪৭.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২১৯।
নয়ে নামা স্পিন অলরাউন্ডার খারোতের কাছ থেকে নিশ্চয়ই এমন কিছু আশা করেননি মোস্তাফিজ। ৪৯তম ওভারে তাঁকে একটি চার ও ছক্কা মেরেছেন খারোতে।
৪৯ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৩০।
৪০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৭৪। শেষ ১০ ওভারে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তুলেছে আফগানিস্তান। তবে আফগানদের আরও আগেই অলআউট করতে পারত বাংলাদেশ।
মোহাম্মদ নবীর ৮৪ এবং অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির ৫২ রান আফগানিস্তানের ইনিংসের ভিত। ষষ্ঠ উইকেটে ১২২ বলে ১০৪ রান যোগ করেন দুজন। এই জুটিতে নবীর অবদান ৬৫ বলে ৬৬, হাশমতউল্লাহর ৫৭ বলে ৩৪।
বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করেছে বাংলাদেশ। ৯.৪ ওভারের মধ্যে ৩৫ রানে নিয়েছে ৪ উইকেট। ২০ ওভারের মধ্যে ৭১ রানে পঞ্চম উইকেটও তুলে নেওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন দুই শ রানও হয়তো করতে পারবে না আফগানিস্তান। কিন্তু নবী ও হাশমতউল্লাহর পাশাপাশি গুলবদিনের ২২ ও নয়ে নামা খারোতের ২৮ বলে অপরাজিত ২৭ রানও কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুই পেসার তাসকিন ও মোস্তাফিজ ৪টি করে উইকেট পেয়েছেন। ক্রিকইনফোর লাইভে জানানো হয়েছে, ওয়ানডে বাংলাদেশের দুই পেসার এই প্রথম কোনো ম্যাচে ৪টি করে উইকেট পেলেন। তাসকিন ১০ ওভারে দেন ৫৩ রান, মোস্তাফিজ ১০ ওভারে দেন ৫৮ রান। ৩২ রানে ১ উইকেট শরীফুল ইসলামের। তাঁর করা শেষ ওভারে ফজলহক ফারুকি রান আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ (নবী ৮৪, হাশমতউল্লাহ ৫২, খারোতে ২৭*, গুলবদিন ২২, আতাল ২১; তাসকিন ৪/৫৩, মোস্তাফিজ ৪/৫৮, শরীফুল ১/৩২, মিরাজ ০/৩০, রিশাদ ০/৪৬, মাহমুদউল্লাহ ০/১১)।
বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ওভার করতে এসেছেন ফজলহক ফারুকি। প্রথম বলটা করেছেন ওয়াইড। সেই বল গ্লাভসবন্দী করতে ব্যর্থ হন বদলি উইকেটকিপার ইকরাম আলীখিল। সেই সুযোগে ১ রান নেন তানজিদ হাসান।
পরের বলেই চার মেরেছেন সৌম্য সরকার। এরপর টানা চারটি ডট।
১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৬।
বৈচিত্র্যময় বোলার হিসেবে এরই মধ্যে পরিচিত পেয়ে গেছেন আল্লাহ গজনফর। তানজিদ হাসান এই অফ স্পিনারের প্রথম শিকারে পরিণত হলেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শুরুতেই গজনফরের ক্যারম বলে বোল্ড হলেন তানজিদ। ফিরলেন ৩ রান করে।
প্রথম উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। ওভারের পরের পাঁচ বল থেকে নাজমুল কোনো রান নিতে পারেননি। গজনফরের মেডেন উইকেট!
ইনিংসের পঞ্চম ওভার করতে এসেছেন ফারুকি। অফ স্টাম্পের বাইরে করা তাঁর দ্বিতীয় বলটা সৌম্যর ব্যাটের কিনারা ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপের ওপর দিয়ে সীমানা ছাড়িয়েছে। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়েছেন সৌম্য। পরের বলে স্ট্রাইক পেয়েই মিড উইকেট দিয়ে চার মেরেছেন নাজমুল। এই ওভার থেকে এসেছে ৯ রান।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ২১।
ব্যাটিংয়ের সময় চোট পান আফগান উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। চোটের কারণে গুরবাজ ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি। তাঁর বদলে কিপিং করছেন ইকরাম আলীখিল।
মাত্র ২ বল করেই মাঠ ছাড়লেন মোহাম্মদ নবী। ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, নবীর পায়ের মাংসপেশিতে টানা ধরেছে। তাঁর করা ২ বলে একটি চার মেরেছেন সৌম্য। নবীর ওভার শেষ করতে আসা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলেও বাউন্ডারি মেরেছেন সৌম্য।
৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৩৯।
প্রথম চার বলে গজনফর দিয়েছিলেন মাত্র ১ রান। কিন্তু পরের বলটা ‘নো’ করেই যেন নিজের সর্বনাশ ডেকে আনলেন। সৌম্য ফি হিট ও ওয়াইড কাজে লাগাতে না পারলেও নাজমুল টানা ২ বলে চার ও ছক্কায় ওড়ালেন গজনফরকে। এই ওভার থেকে এল ১৪ রান।
৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৫৩ রান।
১২তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলেছিলেন নাজমুল। দৌড়ে গিয়ে ক্যাচটা নিতে পারেননি আফগান উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১টি রানও নিয়েছেন এর মধ্যে।
২২ রানে ব্যাট করছেন নাজমুল। অন্য প্রান্তে ৩৩ রানে অপরাজিত সৌম্য।
বাংলাদেশ: ১১.৩ ওভারে ১ উইকেটে ৬৫।
৩৩ রান করে ফিরলেন সৌম্য সরকার। ১২তম ওভারের শেষ বলে ওমরজাইয়ের খাটো লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন সৌম্য। ৪৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হলেন এই ওপেনার। আগের বলেই এলবিডব্লুর আবেদন হয়েছিল সৌম্যর বিপক্ষে। আফগানিস্তান রিভিউ নিলেও কাজ হয়নি।
চারে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ২ উইকেটে ৬৫।
১৪তম ওভারে বোলিং শুরুর আগে স্লিপে মোহাম্মদ নবীকে নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দ্বিতীয় বলেই সেখানে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মিরাজ। বলটি একটু নিচু হয়ে আসায় হাতে জমাতে পারেননি নবী। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ক্যাচগুলো নেওয়ার প্রত্যাশাই স্বাভাবিক। ১ রানে জীবন পেলেন মিরাজ।
১৭তম ওভারে রশিদ খানের চতুর্থ বলে স্লিপে আবারও ক্যাচ তুলেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গুলবদিনের হাতের পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। ৩ রান নেন মিরাজ। পরের বলে নাজমুলের বিপক্ষে এলবিডব্লু আউটের আবেদন করেছিল আফগানিস্তান। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেওয়া হয়। কিন্তু বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করায় রিভিউটি নষ্ট হয় আফগানিস্তানের। দুটি রিভিউ শেষ হলো তাঁদের।
বাংলাদেশ ১৭ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮৬। ৩৫ রানে অপরাজিত নাজমুল। ১৪ বলে ৭ রানে ব্যাট করছেন মিরাজ। তিনি স্বস্তিতে খেলতে পারছেন না।
মিরাজ স্পিনের বিপক্ষে ভুগলেও নাজমুল পেস ও স্পিনের বিপক্ষে বেশ স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছেন। ২০তম ওভারে মোহাম্মদ নবীর দুটি ডেলিভারিতে বাজেভাবে পরাস্ত হওয়ার পর রিভার্স সুইপে তাঁকে চার মেরে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ১০০–তে নিয়ে যান নাজমুল।
বাংলাদেশ: ২০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১০১।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫০ রানের জুটিতে ব্যাট করছেন মিরাজ ও নাজমুল। বাংলাদেশ ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১১৫। নাজমুল অপরাজিত ৪৫ রানে, ২৪ রানে ব্যাট করছেন মিরাজ।
মোহাম্মদ নবীর স্পিনে বারবার পরাস্ত হচ্ছিলেন। রান বের করতে পারছিলেন না। ক্যাচের আশায় দুটো স্লিপও রেখেছিলেন নবী। নাজমুল ক্যাচ দিলেন ঠিকই, তবে স্লিপে নয় শর্ট ফাইন লেগে। সুইপ করতে গিয়ে হাশমতউল্লাহকে ক্যাচ দেন। তিনবারের চেষ্টায় ক্যাচটি নেন আফগান অধিনায়ক। ভালো খেলতে খেলতে ৬৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেন নাজমুল।
বাংলাদেশ ২৬ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১২১। ক্রিজে মিরাজের নতুন সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।
গজানফরের বলে সুইপ করেছিলেন মিরাজ। বল বাতাসে ভাসতে ভাসতে স্কয়ার লেগের দিকে যাচ্ছিল। অনেকটা দৌড়ে এসে দুর্দান্ত ডাইভে ক্যাচটি নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৫১ বলে ২৮ রান করে ৩১তম ওভারে ফিরলেন মিরাজ।
বাংলাদেশ ৩১ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৩৩। ক্রিজে হৃদয়ের নতুন সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। জয়ের জন্য ১১৪ বলে ১০৩ রান দরকার বাংলাদেশের।
৩২তম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদ খানের গুগলি বুঝতেই পারেননি মাহমুদউল্লাহ। বোল্ড! ৫ বলে ২ রান করে আউট হলেন মাহমুদউল্লাহ। ৭ বলের ব্যবধানে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ৩১.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৫।
ক্যারম বল করেছিলেন গজনফর। মুশফিক সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হওয়ার পর বলের ফ্লাইটে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। স্টাম্পিং করতে ভুল করেননি বদলি কিপার ইকরাস আলিখিল। ৩ বলে ১ রানে আউট মুশফিক। ১০ বলের ব্যবধানে মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিককে হারাল বাংলাদেশ।
এই উইকেটটি পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চাপে পড়ল। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী আটে নামা স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন।
৩২.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১৩৬। জয়ের জন্য ১০৭ বলে ১০০ রান দরকার বাংলাদেশের। হাতে ৪ উইকেট।
৩৩তম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদকে এলবিডব্লু করেন গজনফর। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন রিশাদ। ভিডিও রিপ্লেতে তাঁকে আউট দেন তৃতীয় আম্পায়ারও।
বাংলাদেশ ৩২.৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮।
৩৩তম ওভারের শেষ দুই বলে দুটি উইকেট নিলেন গজনফর। শেষ বলে তাসকিনের উইকেটটি নিলেন ক্যারম বলে। শূন্য রানে বোল্ড তাসকিন। ৫ উইকেট হয়ে গেল গজনফরের। নিজের পরের ওভারে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পাবেন তো আফগান ক্রিকেটে ‘নতুন মুজিব’ নামে পরিচিত এই রহস্য স্পিনার!
বাংলাদেশ ৩৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৮।
১৮ বলের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ল বাংলাদেশ!
এই ৬ উইকেটের মধ্যে ৩৪তম ওভারে শেষ উইকেটটি তাওহিদ হৃদয়ের। রশিদের গুগলিতে বোল্ড হন ১১ রান করে।
বাংলাদেশ ৩৩.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯।
রহস্য বোলিংয়ের কারণে আফগান ক্রিকেটে ‘নতুন মুজিব’ খেতাব পেয়েছেন আল্লাহ গজনফর। কেন তাঁকে এই নামে ডাকা হয়, আজ আবারও তা দেখালেন। বোলিং ফিগারটা দেখুন ৬.৩–১–২৬–৬! গজনফরের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে হারল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের শেষ ৮ উইকেট পড়েছে ২৩ রানে। ২৫.৪ ওভার শেষে স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১২০। এখান থেকে ৫৩ বলের ব্যবধানে পড়েছে শেষ ৮ উইকেট। এর মধ্যে শেষ ৭ উইকেট পড়েছে ২৫ বলের ব্যবধানে, যেখানে গজনফরের একার শিকারই ৫ উইকেট! এর আগে ওপেনার তানজিদ হাসানকে আউট করেছিলেন।
বাংলাদেশের এই আশ্চর্য পতনের আগে পরিস্থিতি তাঁদের অনুকূলেই ছিল। ১২ ওভারের মধ্যে ৬৫ রানে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ ফিরে গেলেও তৃতীয় উইকেটে মিরাজ ও নাজমুল ৫৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্যর সঙ্গেও ৫৩ রানের জুটি গড়েন নাজমুল। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং।
অধিনায়ক নাজমুল বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ৩৩ রান করেন সৌম্য। ২৮ রান এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকে।
গজনফরের একক ‘শো’ এর বাইরে ২৮ রানে ২ উইকেট নেন রশিদ খান। ১টি করে উইকেট নবী ও ওমরজাইয়ের। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান। শারজাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শনিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ (নবী ৮৪, হাশমতউল্লাহ ৫২, খারোতি ২৭*, নাইব ২২, আতাল ২১; তাসকিন ৪/৫৩, মোস্তাফিজ ৪/৫৮, শরীফুল ১/৩২, মিরাজ ০/৩০, রিশাদ ০/৪৬, মাহমুদউল্লাহ ০/১১)।
বাংলাদেশ: ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ (নাজমুল ৪৭, সৌম্য ৩৩, মিরাজ ২৮, হৃদয় ১১, তানজিদ ৩; গজনফর ৬/২৬, রশিদ ২/২৮, নবী ১/২৩, ওমরজাই ১/১৬)।
ফল: আফগানিস্তান ৯২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: আল্লাহ গজনফর (আফগানিস্তান)।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে আফগানিস্তান।