৪০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৭৪। শেষ ১০ ওভারে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তুলেছে আফগানিস্তান। তবে আফগানদের আরও আগেই অলআউট করতে পারত বাংলাদেশ।
মোহাম্মদ নবীর ৮৪ এবং অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির ৫২ রান আফগানিস্তানের ইনিংসের ভিত। ষষ্ঠ উইকেটে ১২২ বলে ১০৪ রান যোগ করেন দুজন। এই জুটিতে নবীর অবদান ৬৫ বলে ৬৬, হাশমতউল্লাহর ৫৭ বলে ৩৪।
বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করেছে বাংলাদেশ। ৯.৪ ওভারের মধ্যে ৩৫ রানে নিয়েছে ৪ উইকেট। ২০ ওভারের মধ্যে ৭১ রানে পঞ্চম উইকেটও তুলে নেওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন দুই শ রানও হয়তো করতে পারবে না আফগানিস্তান। কিন্তু নবী ও হাশমতউল্লাহর পাশাপাশি গুলবদিনের ২২ ও নয়ে নামা খারোতের ২৮ বলে অপরাজিত ২৭ রানও কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুই পেসার তাসকিন ও মোস্তাফিজ ৪টি করে উইকেট পেয়েছেন। ক্রিকইনফোর লাইভে জানানো হয়েছে, ওয়ানডে বাংলাদেশের দুই পেসার এই প্রথম কোনো ম্যাচে ৪টি করে উইকেট পেলেন। তাসকিন ১০ ওভারে দেন ৫৩ রান, মোস্তাফিজ ১০ ওভারে দেন ৫৮ রান। ৩২ রানে ১ উইকেট শরীফুল ইসলামের। তাঁর করা শেষ ওভারে ফজলহক ফারুকি রান আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ (নবী ৮৪, হাশমতউল্লাহ ৫২, খারোতে ২৭*, গুলবদিন ২২, আতাল ২১; তাসকিন ৪/৫৩, মোস্তাফিজ ৪/৫৮, শরীফুল ১/৩২, মিরাজ ০/৩০, রিশাদ ০/৪৬, মাহমুদউল্লাহ ০/১১)।
নয়ে নামা স্পিন অলরাউন্ডার খারোতের কাছ থেকে নিশ্চয়ই এমন কিছু আশা করেননি মোস্তাফিজ। ৪৯তম ওভারে তাঁকে একটি চার ও ছক্কা মেরেছেন খারোতে।
৪৯ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৩০।
৮৪ রান করে সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন মোহাম্মদ নবী। কিন্তু ৪৮তম ওভারে তাসকিনকে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন। ৭৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে দারুণ এক ইনিংস খেললেন নবী।
পরের বলে গাজানফারকেও বোল্ড আউট করেন তাসকিন। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তাসকিনের সামনে। কিন্তু পারেননি।
আফগানিস্তান: ৪৭.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২১৯।
৪৬তম ওভারে দলীয় সংগ্রহ ২০০ হলো আফগানিস্তানের। উইকেট পড়েছে ৭টি। নবী ৭৭ রানে অপরাজিত। ২ রানে অন্য প্রান্তে নাগেয়ালিয়া খারোতে।
উইকেট নেওয়ার খাতায় নাম লেখালেন শরীফুল ইসলামও।
৪৩তম ওভারে শরীফুলের বলে মিড উইকেটে মোস্তাফিজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রশিদ খান। ১০ রান করে আউট হলেন তিনি।
আফগানিস্তান: ৪৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯।
৪১তম ওভারে মোস্তাফিজের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন হাশমতউল্লাহ। বোল্ড! ৯২ বলে ৫২ রান করে আউট হলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে নবীর সঙ্গে তাঁর ১০৪ রানের জুটিও ভাঙল। ম্যাচে মোস্তাফিজের এটি চতুর্থ উইকেট।
৬৬ রানে অপরাজিত নবীর সঙ্গে ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান রশিদ খান।
আফগানিস্তান: ৪১ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৭৯।
৩৯তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ১ রান নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি তুলে নেন হাশমতউল্লাহ। নবীর সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৯৫ রানের জুটি গড়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
আফগানিস্তান: ৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৭০।
৩৭তম ওভারে রিশাদের বলে ২ রান নিয়ে ওয়ানডেতে নিজের ১৭তম ফিফটি তুলে নিলেন নবী। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম এবং শারজায় এটি তাঁর তৃতীয় ফিফটি।
ফিফটি তুলে নেওয়ার পরের বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন নবী। বল অনেকক্ষণ বাতাসে ভাসলেও লং অফ থেকে দৌড়ে গিয়েও তালুবন্দী করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ক্যাচ নিতে তিনি বলের ফ্লাইট বুঝতে পেরেছিলেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠতে পারে।
আফগানিস্তান: ৩৭ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৭।
৩৬তম ওভারে দলীয় ১৫০ রান পেরিয়ে গেল আফগানিস্তান। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আফগানিস্তানকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন নবী ও হাশমতউল্লাহ।
আফগানিস্তান: ৩৬ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫২।
২০তম ওভারে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৫৭ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আফগানিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন নবী ও হাশমতউল্লাহ জুটি।
হাশমতউল্লাহ ৩৭ ও নবী ৩৩ রানে ব্যাট করছেন।
আফগানিস্তান: ৩০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১২৪।
শারজা স্টেডিয়ামের ছাদ পেরিয়ে বল গিয়ে পড়েছে একদম রাস্তায়! ১০২ মিটারের বিশাল ছক্কা মারলেন নবী। বোলার রিশাদ। ২৭তম ওভারে দ্বিতীয় বলটি ফুল লেংথে পড়লে লং অন দিয়ে বিশাল এই ছক্কা মারেন নবী।
আফগানিস্তান: ২৭ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১১১।
২৬তম ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১০০। ২১ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্বমদ নবী। ২৫ রানে অপরাজিত হাশমতউল্লাহ।
২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে রিশাদের বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। হাশমতউল্লাহ ডিফেন্স করেও বল ব্যাটে পাননি। উইকেটকিপার মুশফিক পেছন থেকে জোরাল আবেদন করেন। ক্রিজে আশপাশে থাকা অন্যান্য ফিল্ডাররাও আবেদন করলেও আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেন অধিনায়ক নাজমুল। ভিডিও রিপ্লেতে বল ও ব্যাটের মধ্যে ফাঁকটা স্পষ্ট দেখা গেছে। একটি রিভিউ নষ্ট হলো বাংলাদেশের। বাকি আছে একটি রিভিউ।
আফগানিস্তান: ২৩ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৮৭।
২০তম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে বলটা তুলেছিলেন তাসকিন। ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি গুলবদিন নাইব। মিডউইকেটে তানজিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩২ বলে ২২ রান করে। এর মধ্য দিয়ে পঞ্চম উইকেটে হাশমতউল্লাহর সঙ্গে তাঁর ৩৬ রানের জুটিও ভাঙল।
ক্রিজে হাশমতউল্লাহর নতুন সঙ্গী মোহাম্মদ নবী।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ৭১।
১৮তম ওভার শেষে বোলিংয়ে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে নিয়ে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল। এর আগে আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ওভারে ৭ রান দিলেও উইকেট পাননি।
আফগানিস্তান: ১৮ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৯।
১৪তম ওভারে মোস্তাফিজকে মিড অন দিয়ে চার মেরে দলীয় সংগ্রহ ৫০ পূর্ণ করেন হাশমতউল্লাহ।
আফগানিস্তান: ১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৫০। হাশমতউল্লাহ ১০ রানে অপরাজিত, গুলবদিন ৯ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছেন।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের উইকেটকিপারদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচটি ডিসমিসালের কীর্তি মুশফিকুর রহিম ও খালেদ মাসুদের। মুশফিক এর মধ্যে দুবারই পাঁচটি ক্যাচ নিয়েছেন। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে এবং ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
আজ এ পর্যন্ত আফগানিস্তানের ৪টি উইকেটের মধ্যে তিনটিতেই ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক। আরও তিনটি ডিসমিসাল করতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
আফগানিস্তান: ১১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৭।
সেদিকউল্লাহ আতালকে ফেরানোর দুই বল পরই আবারও উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ। এবার শিকার আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
ভালো লেংথ থেকে কাটার মেরেও বল তুলেছিলেন মোস্তাফিজ। আজমতউল্লাহ দ্বিধা নিয়ে ব্যাটে খেলার চেষ্টা করেছিলেন, সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল! বল তাঁর ব্যাটের কানা নিয়ে সোজা উইকেটকিপার মুশফিকের গ্লাভসে।
নিজের প্রথম ওভারে রহমতকে ফেরানোর পর দ্বিতীয় ওভারে আরও দুটি উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ। তাঁর সামনে রীতিমতো কাঁপছে আফগানিস্তান।
ক্রিজে হাশমতউল্লাহর নতুন সঙ্গী গুলবদিন।
আফগানিস্তান: ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪।
এবার শিকার ওয়ানডে অভিষিক্ত ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতাল।
১০ম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টাম্প বরাবর একটু সামনের লেংথে বল করেছিলেন মোস্তাফিজ। আতাল ব্যাটে খেলতে গিয়ে পানননি। মোস্তাফিজের এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেননি আতাল।
ক্রিজে হাশমতউল্লাহর নতুন সঙ্গী আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
আবারও উইকেটের পেছনে ক্যাচ!
লেন্থ বল থেকে আবারও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়েছেন রহমত। ১৩ বলে ২ রান করে আউট হলেন।
ক্রিজে সেদিকউল্লাহ আতালের নতুন সঙ্গী হাশমতউল্লাহ শহীদি।
আফগানিস্তান: ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৩৪।
৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৯ রান তুলেছে আফগানিস্তান। অভিষিক্ত আতাল অপরাজিত ১২ রানে, রহমত শাহ ৫ রানে।
উইকেট থেকে বেরিয়ে ড্রাইভ খেলতে চেয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে তাসকিনের ফুল লেংথের বল এজ হয়ে চলে যায় উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে।
২ ওভারে আফগানিস্তানের রান ১ উইকেটে ৭।
বাংলাদেশ–আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ভেন্যু হিসেবে ৩০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করবে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
শারজায় সিরিজের প্রথম ম্যাচ আজ। পিচ রিপোর্টে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার কথা বলেছেন। আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিও করেছেন সেটাই। টসে জিতে নিয়েছেন ব্যাটিং। হাশমতউল্লাহ আশা করছেন, ফ্লাডলাইটের নিচে দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা যাবে টার্ন।
তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম
শারজায় আজ প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মুখোমুখি আফগানিস্তান।