টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে ‘লাল সবুজের গল্প’ শুরু করেছে বিসিবি। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এই সিরিজ-গল্পগুলো পোস্ট করা হচ্ছে বিসিবির ফেসবুক পেজে। জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তানজিদ হাসান ও নাজমুল হোসেনরা এর আগে নিজেদের গল্প বলেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে দল ও ব্যক্তিগত প্রত্যাশার কথাও বলেছেন তাঁরা। আজ জাতীয় দলের পেসার তানজিম হাসানের ‘লাল সবুজের গল্প’ ভিডিও বার্তা হিসেবে নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে বিসিবি। গল্পগুলোর শিরোনামও চমৎকার ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি।’
জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি থেকেই যে শিরোনাম করা হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তানজিম এই জার্সি প্রথম গায়ে চাপিয়েছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। সব মিলিয়ে এর মধ্যে ৭টি ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তানজিম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াডে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এই বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। বাংলাদেশ দলকে নিয়েও আশার কথা বলেছেন তানজিম।
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দল নিয়ে তানজিমের কণ্ঠে ঝরল আত্মবিশ্বাস, ‘খুবই আত্মবিশ্বাসী আমাদের দল নিয়ে। আমাদের দল মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী আছে। বন্ধনও খুব শক্তিশালী। আমরা চাইলে যেকোনো দলকে হারাতে পারি। আমাদের এগারোজন যদি মাঠে ওই দিন সেরাটা দিতে পারে, তাহলে কোনো দলই আমাদের সামনে ব্যাপার না। আমরা যেকোনো দলকে হারানোর মতো দক্ষতা রাখি।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২ জুন (বাংলাদেশ সময়) থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের বাকি চার প্রতিদ্বন্দ্বী—দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।
জাতীয় দলে নিজের পছন্দের ব্যাটসম্যানের নামও বলেছেন তানজিম। সেই ব্যাটসম্যান আবার ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে তাঁর সতীর্থও ছিলেন। সেই তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে তানজিম বলেছেন, ‘তাওহিদ হৃদয় আমার পছন্দের ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটিং খুবই উপভোগ করি। তার হিটিং আমার খুবই ভালো লাগে। নেটে বল করতেও ভালো লাগে। তার এবং আমার মধ্যে সব সময় একটা চ্যালেঞ্জ কাজ করে। আমি সব সময় তাকে বলি, আমাকে ছয় মারেন! ছয় মারেন! তো, আমি সব সময় তাকে চ্যালেঞ্জ দিই, সে-ও মজা পায় চ্যালেঞ্জ নিয়ে।’
তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়েও কথা বলেছেন তানজিম। সাকিবের মতো মানসিক শক্তি অর্জন করতে চান তিনি, ‘সাকিব ভাইয়ের যে কঠিন মানসিকতা, সেটা আনার চেষ্টা করব। সব সময় ভালো লাগে যে তিনি মানসিকভাবে শক্ত থাকেন। যেকোনো পরিস্থিতিকে খুবই শান্তভাবে সামাল দিতে পারেন। ওনার এ ব্যাপারটি আমার খুব ভালো লাগে।’
তানজিম জানিয়েছেন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময়ই তাঁর লক্ষ্য ছিল জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন। এ নিয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাসে কখনো ঘাটতি পড়েনি, ‘আমি নিজেকে এভাবে প্রস্তুত করেছি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য যে আমাকে ওখানে দাপট ছড়াতে হবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে তানজিম বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ সব সময়ই রোমাঞ্চকর। এটা সবারই লক্ষ্য। আশা থাকে যে বিশ্বকাপে খেলব, ওখানে খেলে যেন দেশকে কিছু দিতে পারি। আমারও একই লক্ষ্য থাকবে। যদি সুযোগ পাই, আমার পারফরম্যান্সে যেন দল বিজয় লাভ করে।’