ফিফটির পর সাব্বির
ফিফটির পর সাব্বির

সাব্বির–ঝড়ের পরও হারল ঢাকা

সোমবার সিলেটে ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রথম দিনের অনুশীলনে সাব্বির রহমানকে নিয়ে কোনো রাখঢাকই রাখেননি কোচ খালেদ মাহমুদ। খোলামেলাই বলেছিলেন, শৃঙ্খলার কারণেই তাঁকে আগের দুই ম্যাচের দলে রাখা হয়নি। কিন্তু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে সাব্বিরের ওপর আস্থা রাখতে চায় ঢাকা—জানিয়েছিলেন এমনও।

আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেই আস্থারই দারুণ প্রতিদান দিয়েছেন সাব্বির। ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান চিটাগং কিংসের বিপক্ষে খেলেছেন ৩৩ বলে ৮২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।

যে ইনিংসে ৯ ছক্কায় ফিরিয়ে এনেছেন সেরা সময়ের সাব্বিরকে। তারপরও অবশ্য টানা পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের করে আনতে পারেননি ঢাকাকে। ঢাকার ৫ উইকেটে ১৭৭ রান ৩ বল বাকি থাকতেই টপকে গেছে চিটাগং কিংস। সেটিও মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। টুর্নামেন্টে ঢাকার টানা পঞ্চম হার। অন্যদিকে ৩ ম্যাচে এটি চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়।

সাব্বিরের শুরুটা আজও ছিল নড়বড়ে। প্রথম ৯ বলে করেছিলেন ৪ রান। এরপর শরীফুলকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছয় মারার পর আর হাত গোটাননি। আরাফাত সানির ১ ওভার থেকে ৩ ছক্কা ও ১ চারে নিয়েছেন ২২ রান, টানা দুই ছক্কা মেরেছেন আলিস আল ইসলাম, মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলেও।

কাভারের ওপর দিয়ে দারুণ কিছু শট খেলেছেন সাব্বির

২২ বলে ফিফটি পূর্ণ করা সাব্বির নিজের শেষ ২৪ বলেই নিয়েছেন ৭৮ রান। তাঁর ৯ ছক্কা বিপিএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে এক ইনিংসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে সাব্বিরই ২০১৬ বিপিএলে রাজশাহীর হয়ে বরিশালের বিপক্ষে ১২২ রান করার পথে ৯ ছক্কা মেরেছিলেন (তামিম ইকবাল ১১ ছক্কা মেরেছিলেন ২০১৯ আসরের ফাইনালে)।

ফিফটি করেছেন তানজিদ

ঢাকা ক্যাপিটালসের ইনিংসে সাব্বিরের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন ওপেনার তানজিদ হাসান। তাতেই মূলত ঢাকা ক্যাপিটালস তুলতে পেরেছিল ১৭৭ রান, যা এবারের টুর্নামেন্টে তাদের সর্বোচ্চ।

ঢাকার বোলিং লাইনআপের যে অবস্থা, তাতে এই রান ডিফেন্ড করা কঠিনই ছিল। কারণ, এই দলে মোস্তাফিজুর রহমান ও মুকিদুল ইসলাম ছাড়া ওই অর্থে ভরসা করার মতো বোলার নেই বললেই চলে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শিশির। বল হাতে শুরু করেছিলেন মুকিদুল ও মোস্তাফিজ। ঢাকার ভাবনা ছিল শুরুতেই চট্টগ্রামকে চাপে ফেলা।

মাঠে কতটা কুয়াশা ছিল, শামীম–মিঠুনের এ ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে

তবে প্রথম ৬ ওভারেই চট্টগ্রামের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ও উসমান খান তোলেন ৫৫ রান। এরপর বাকিরা শুধু রান তোলার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। পারভেজ আউট হন ১৭ রান করে। ২৫ বলে ফিফটি করা উসমান খেলেছেন ৩৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। এরপর বাকি কাজটা করেছেন গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ মিঠুন ও শামীম হোসেন। ৩৯ রান করেছেন ক্লার্ক। মিঠুন অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে, শামীম ১৪ বলে ৩০ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৭৭/৫ (সাব্বির ৮২*, তানজিদ ৫৪; খালেদ ৩/২১, আলিস ১/২৫)।

চিটাগং কিংস: ১৮০/৩ (উসমান ৫৫, ক্লার্ক ৩৯; ফারমানউল্লাহ ১/৩০, মোস্তাফিজুর ১/২৩)।

ফল: চিটাগং ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: খালিদ আহমেদ।