অস্ট্রেলিয়ার একাদশ দেখেই কেউ কেউ চমকে উঠতে পারেন। অভিষেকে চার উইকেট নেওয়া তানভীর সাংহা দলে নেই, যাঁর অনুপস্থিতিতে খেলেছিলেন সেই অ্যাডাম জামপা ফিরেছেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকে দ্বিতীয় সেরা বোলিং করা তানভীরকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা নেওয়াটা কঠিন ছিল না। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল মূলত ব্যাটিংয়ে ভর করে, ১১১ রানের বিশাল ব্যবধানে।
আজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও দেখা গেল ব্যাটিংয়েরই দাপট। তানভীরের জায়গায় নামা জামপা ৪ ওভারে ৪২ রান দিলেও দিনশেষে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। দক্ষিণ আফ্রিকার তোলা ৮ উইকেটে ১৬৪ রান অস্ট্রেলিয়া টপকে গেছে ৩১ বল হাতে রেখেই।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতে ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২২৬ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। যেখানে অধিনায়ক মার্শ ৪৯ বলে অপরাজিত ছিলেন ক্যারিয়ার-সেরা ৯২ রান তুলে। সেদিন তাঁকে ২৮ বলে ৬৪ রান তুলে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন টিম ডেভিড।
ডারবানে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কের সঙ্গী হন শর্ট। মাত্র দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এই ওপেনার ৩০ বলে খেলে যান ৬৬ রানের ইনিংস। যে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ঝোড়ো শুরু এনে দেন টেম্বা বাভুমা। প্রথম তিন ওভারের মধ্যে ১৬ বল খেলে ৩৫ রান তুলে ফেলেন এই ব্যাটসম্যান। তবে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাভুমার আউটে প্রোটিয়া ব্যাটিং বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়ে। প্রথম ১৮ বলে বিনা উইকেটে ৩৬ রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা পরের ১৮ বলে ১০ রান তুলতে হারায় ৪ উইকেট। বাভুমাকে শেন অ্যাবোট আর ফন ডার ডুসেনকে জেসন বেহরনডর্ফ তুলে নেওয়ার জোড়া উইকেট মেডেন মেন নাথান এলিস।
৪৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক মার্করাম ও ত্রিস্টান স্টাবসের পঞ্চম উইকেটে পায় ৫১ রান। ২০ বলে ২৭ রান করা স্টাবসকে বেহরেনডর্ফ ফিরিয়ে দেওয়ার পর দলকে দেড় শর দিকে নিয়ে যান মার্করাম। ১৯তম ওভারে অ্যাবোটের শিকার হওয়ার আগে ৩ চার ২ ছয়ে ৩৮ বলে ৪৯ রান তুলে যান মার্করাম।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৪/৮ (মার্করাম ৪৯, বাভুমা ৩৫, স্টাবস ২৭; অ্যাবোট ৩/২২, এলিস ৩/২৫, বেহরেনডর্ফ ২/২৫)।
অস্ট্রেলিয়া: ১৪.৫ ওভারে ১৬৫/২ (মার্শ ৭৬*, শর্ট ৬৬; উইলিয়ামস ১/১৭)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: শেন অ্যাবোট।