ক্রিকেটীয় চেতনার অনুসরণ, নাকি আইনে থাকা সুযোগের সদ্ব্যবহার—ক্রিকেট–বিশ্বে আবারও আলোচনায় এই বিতর্ক। ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মতে, এর কোনোটাই ভুল বা শুদ্ধ নয়। তবে আইনের অধীন সুযোগ গ্রহণ করায় কাউকে দোষারোপ করা ঠিক নয় বলে তিনি মনে করেন।
গত সপ্তাহে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘টাইমড আউট’ হন শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ওয়ানডে ইতিহাসে এ ধরনের আউট এটিই প্রথম। সেদিন ‘টাইমড আউট’–এর আবেদন করায় ম্যাচের পর বাংলাদেশ দল ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের তীব্র সমালোচনা করেন ম্যাথুস। ক্রিকেট বিশ্লেষক, সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে সাকিব ক্রিকেটীয় চেতনা দেখাতে পারতেন বলে মত দেন।
ম্যাথুসের টাইমড আউট প্রসঙ্গটি কাল ভারতের নেদারল্যান্ডস ম্যাচ–পূর্ব দ্রাবিড়ের সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে। এক সাংবাদিক সাবেক এই ক্রিকেটারকে জিজ্ঞেস করেন, ক্রিকেটীয় চেতনার অনুসরণ এবং ক্রিকেটের আইন মেনে চলা নিয়ে যে বিতর্ক, সেটি নিয়ে তাঁর ভাবনা কী? বিশেষ করে দ্রাবিড় নিজেই যখন খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে এ ধরনের একটি ঘটনায় ইয়ান বেলকে ফিরিয়ে আনার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন।
মত দিতে গিয়ে দীর্ঘ উত্তরে দ্রাবিড় বলেন, ‘আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টি। সবারই নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই। নির্দিষ্ট একটি পরিস্থিতিতে সবাই ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করে। এখানে সত্যিকার অর্থে শুদ্ধ বা ভুল কিছু নেই। আপনি এটা মেনে নিতে পারেন আবার বিতর্কও করতে পারেন। আইনের ওপর স্থির থাকবেন, নাকি ক্রিকেটীয় চেতনা দেখিয়ে কিছুটা ছাড় দেবেন, সেই বিতর্ক তুলতেই পারেন। এখানে দুই পক্ষেই মত থাকবে।’
নির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কেউ একমত পোষণ করবেন, কেউ দ্বিমত জানাবেন—এমনটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন দ্রাবিড়। তবে দ্বিমত জানালেও সিদ্ধান্ত নেওয়া খেলোয়াড়টিকে দোষারোপ করা ঠিক নয় বলে মত দেন ভারতের কোচ, ‘কেউ একজন ক্রিকেটের নিয়ম মানল, এ জন্য তাকে অভিযুক্ত করতে পারেন না। কারণ, সে আইনে দেখেছে বলেই করেছে। আমি যেটা বলতে চাইছি, আপনি নিজে হয়তো কাজটা করবেন না। আমরাও হয়তো করব না। তবে আইন মানার জন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারেন না। কারণ, আইনে সেটা আছে। কে কোনটা বেছে নেবেন, সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত।’