‘ঈশ্বরের খেয়াল’ কথাটি ভারতীয় ক্রিকেট মহলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রিংকু সিংয়ের সৌজন্যে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের আগে সেই কথা দিয়েই হাতে নতুন ট্যাটু আঁকিয়ে নিয়েছেন ভারতের এই ব্যাটসম্যান।
‘ঈশ্বরের খেয়াল’ কথাটি কীভাবে পরিচিতি পেল, তা নিশ্চয় জানা। আহমেদাবাদে গত বছর আইপিএলে গুজরাট টাইটানস–কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের শেষ ওভার করতে আসা যশ দয়ালের ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে কলকাতাকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন রিংকু।
সেই দয়াল এ বছরের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে দারুণ পারফর্ম করেন; বিশেষ করে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে প্লে–অফ পর্বে ওঠার অঘোষিত লড়াইয়ে।
সেই ম্যাচেরও শেষ ওভার করতে আসেন দয়াল। প্লে–অফে জায়গা করে নিতে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৭ রান। মহেন্দ্র সিং ধোনি প্রথম বলেই দয়ালকে ছক্কা মারলে সবার মনে ফিরে আসে গত বছরের স্মৃতি। তবে এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান এই বাঁহাতি পেসার। দ্বিতীয় বলেই ধোনিকে আউট করেন। শেষ চার বলে দেন মাত্র ১ রান। ফলে প্লে–অফে পৌঁছে যায় তাঁর দল বেঙ্গালুরু।
সেই ম্যাচের পর রিংকু দয়ালকে মেনশন করে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘বাছা, সবই ঈশ্বরের খেয়াল।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের আগে সেই কথা দিয়েই হাতে ট্যাটু আঁকিয়ে নিয়েছেন রিংকু। ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের হাতে ট্যাটু আঁকিয়ে দিয়েছেন চিত্রশিল্পী বাঘব শেঠি।
নতুন ট্যাটুর একাধিক ছবি গতকাল ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন রিংকু। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বৃত্তাকার নশকার মধ্যে ইংরেজিতে লেখা God’s Plan (ঈশ্বরের খেয়াল)। বৃত্তাকার নকশাটি আসলে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম এবং এর বিভিন্ন পাশে ৫টি বল। অর্থাৎ, রিংকু গত বছর মাঠের যে দিক দিয়ে দয়ালের ৫ বলে টানা ৫ ছক্কা মেরেছিলেন, সেটারই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সম্প্রতি ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা দুলীপ ট্রফিতে ভালো করায় দয়ালকে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে রেখেছে ভারত। তবে চেন্নাই টেস্টের একাদশে তাঁকে রাখা হয়নি। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া কানপুর টেস্টের একাদশেও তাঁর না থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাই ভারতের জার্সিতে দয়ালের অভিষেকের অপেক্ষা দীর্ঘ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে ভারতের হয়ে ২৫টি ম্যাচ খেলা রিংকু সিং বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি–টোয়েন্টিতে থাকছেন, তা অনেকটাই নিশ্চিত। আগামী ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে হবে প্রথম টি–টোয়েন্টি। শেষ দুই টি–টোয়েন্টি ৯ ও ১২ অক্টোবর দিল্লি ও হায়দরাবাদে।