সিলেটে সিরিজের প্রথম নারী টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ১৪৫ রানের মধ্যে আটকে রেখেছে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ভারত মাঝের ওভারগুলোতে দাপট দেখালেও এর আগে-পরে ঠিক সুবিধা করতে পারেনি।
বাংলাদেশ পুড়েছে দুটি ক্যাচ হাতছাড়া করার আক্ষেপে, সেটি না হলে ভারতকে আটকাতে পারত আরেকটু কমের মধ্যে।
পাওয়ারপ্লেতে ভারত তোলে ১ উইকেটে ৩৯ রান, তবে উইকেটের সংখ্যা বদলাতে পারত সহজেই। দ্বিতীয় ওভারে সুলতানা খাতুনের বলে কাভারে স্মৃতি মান্ধানার সহজ ক্যাচ ফেলেন ফারিহা ইসলাম, ষষ্ঠ ওভারে গিয়ে সুলতানা লং অনে ফেলেন মারুফা আক্তারের বলে শেফালি বর্মার ক্যাচ।
জীবন পেয়ে স্মৃতি যোগ করেন ৮ রান—ক্যাচ মিসের পরই ইনসাইড আউটে চারের পর স্কয়ার লেগ দিয়ে মারেন আরেকটি। অবশ্য স্মৃতি আউট হন ফারিহার বলেই, অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে। শেফালি থামেন নবম ওভারে, রাবেয়ার বলে লিডিং এজে ক্যাচ দিয়ে।
শেফালি আউট হওয়ার আগে যস্তিকা ভাটিয়ার সঙ্গে ৩১ বলে যোগ করেন ৪৩ রান। মাঝের ওভারগুলোতে ভারতকে টানা ওই জুটির পর যস্তিকার সঙ্গে অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের ৩৩ বলে ৪৫ রানের আরেকটি জুটি হয়। দুজন ফেরেন ২ রানের মধ্যে—ফাহিমার বলে এলবিডব্লু হন ২২ বলে ৩০ রান করা হারমানপ্রীত, পরের ওভারে আরেক লেগ স্পিনার রাবেয়ার বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ২৯ বলে ৩৬ রান করা যস্তিকা।
রিচা ঘোষ ও অভিষিক্ত সাজানা সজীবনের জুটিতে অবশ্য সে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। রাবেয়ার বলে ফারিহার দুর্দান্ত ক্যাচে সেটি থামে আগেভাগেই। কাভারের সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নেন ফারিহা, শুরুতে ক্যাচ ফেলার দায়মোচনও করেন তাতে একটু হলেও।
হারমানপ্রীত ও যস্তিকার জুটির সময় ভারতের নাগালে ছিল ১৬০-১৭০ রানও। শেষ পর্যন্ত সেটি না হলেও অন্তত ১৫০ রানের দিকে ভারত ছুটছিল রিচা ঘোষের ইনিংসে।
কিন্তু শেষ ৩ বলের মধ্যে রিচা ও পূজা বস্ত্রকরের উইকেট নিয়ে ভারতকে ১৪৫ রানে আটকে ফেলতে সহায়তা করেন মারুফা। ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এ পেসার। দিনের সেরা বোলার অবশ্য রাবেয়া, ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার।বোলাররা অতিরিক্ত কোনো রান দেননি। এ নিয়ে চতুর্থবার ২০ ওভার বোলিং করেও কোনো অতিরিক্ত রান দেয়নি বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৪৫/৭ (যস্তিকা ৩৬, শেফালি ৩১, হারমনপ্রীত ৩০, রিচা ২৩; রাবেয়া ৩/২৩, মারুফা ২/১৩, ফারিহা ১/২৩)।