বল হাতে নিয়েছেন ৭ জন। ছয়জনই অন্তত একটি করে উইকেট পেয়েছেন। ব্যাটিং করেছেন ১০ জন। সাতজনই আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে।
এই হচ্ছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রথম ওয়ার্মআপ ম্যাচে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স। দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা তোলে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান। তাড়া করতে নেমে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১১০ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
প্রতি ওভারে সাতের বেশি রান দরকার—এমন লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকেই ছিল নড়বড়ে। একের পর এক উইকেটও গেছে, রানও উঠেছে ধীরে। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৩৯ রান। পরের দশ ওভারে যে ৭১ রান যোগ হয়েছে, তাতে অবদান দুজনের। অধিনায়ক নিগার সুলতানা করেন ৩৮ বলে ৩০ রান, যিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
এ ছাড়া দশ নম্বরে নামা দিশা বিশ্বাসের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৫ রান। নবম উইকেটে এ দুজনের ৪০ রানের জুটিই বাংলাদেশকে এক শ পার করায়। তার আগে ইনিংসের ১৪তম ওভারে শ্রীলঙ্কার সুগন্ধিকা কুমারির বলে হ্যাটট্রিকের শিকার হয় বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার সুগন্ধিকা টানা তিন বলে আউট করেন স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি ও রাবেয়া খানকে। এর মধ্যে স্বর্ণা স্টাম্পড হওয়ার পর রিতু হন এলবিডব্লু। হ্যাটট্রিক সামলাতে নেমে রাবেয়া ওয়াইড বলে হন স্টাম্পড।
এর আগে বল হাতে বাংলাদেশের সেরা বোলার স্বর্ণা, ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন রাবেয়া, রিতু, নাহিদা আক্তার, সুলতানা খাতুন ও জাহানারা আলমরা। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন চারে নামা হাসিনি পেরেরা।
বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ওয়ার্মআপ ম্যাচ খেলবে মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিপক্ষে। চূড়ান্ত পর্বে নিগারদের প্রথম ম্যাচ ৩ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটিই এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ।