কানপুরের গ্রিন পার্কে সর্বশেষ টেস্ট হয়েছে ২০২১ সালে
কানপুরের গ্রিন পার্কে সর্বশেষ টেস্ট হয়েছে ২০২১ সালে

ভারতের বিপক্ষে পিচ নিয়ে ভেবে লাভ নেই, মনে করেন সাকিব

আগামীকাল শুরু বাংলাদেশ–ভারত কানপুর টেস্টের ভেন্যু গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, তৃতীয় দিন থেকে সেখানে রাজত্ব চলবে স্পিনারদের। কারও কারও মতে, গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের সঙ্গে বাংলাদেশের উইকেটের মিল আছে।

সাকিব আল হাসানের ভাবনাটা অন্য রকম। টেস্ট ক্রিকেটের পরাশক্তি দলগুলোর বিপক্ষে খেলার সময় উইকেট নিয়ে ভেবে খুব বেশি লাভ নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে টেস্টে ভালো খেলার কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন সাকিব।

ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে আজ সাকিব গ্রিন পার্কের উইকেট নিয়ে প্রশ্নে বলেছেন, ‘ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে যখন খেলবেন; তখন উইকেট খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। তাদের অবশ্যই তেমন অস্ত্র থাকবে, যা দিয়ে তারা আমাদের আক্রমণ করবে। তাদের কোয়ালিটি পেসার, কোয়ালিটি স্পিনার, কোয়ালিটি ব্যাটসম্যান থাকবে। আমার মনে হয় না পিচের কোনো প্রভাব থাকবে। চেন্নাইয়ে যা করেছি, তার চেয়ে ভালো পারফর্ম করতে হবে এটাই একমাত্র বিষয়।’

কানপুরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সাকিব আল হাসান

চেন্নাইয়ে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান তোলার পর বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৪৯ রান। পরে ভারত ৫১৫ রানের জয়ের লক্ষ্য দিলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারে ২৩৪ রান। কানপুর টেস্টের আগে ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগিদ দিলেন সাকিব, ‘ব্যাটিংয়ের কথা যদি বলি, তাহলে প্রথম ইনিংসের চেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে উন্নতি হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানের আশপাশে অলআউট হয়েছি, দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ২৫০ রানের মতো করেছি। আমরা যদি (কানপুরে) প্রথম ইনিংসে ৩৫০ রানের মতো করতে পারি, সেটা অনেক বড় অর্জন হবে। প্রথম ইনিংসে ৩৫০ থেকে ৪০০ রান অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে। ড্রেসিংরুমে স্বস্তি আসবে।’

ব্যাটিংয়ের সময় মাথা স্থির রাখতে সাকিব অনেক দিন ধরে কালো রবারের স্ট্র্যাপ গলায় চেইনের মতো বানিয়ে কামড়ে ধরে রাখেন। এটা বেশ কয়েকটা সিরিজ ধরেই করছেন তিনি। কেন এমনটা করেন, সংবাদ সম্মেলনে তা নিয়েও বলেছেন সাকিব, ‘এটা ব্যাটিংয়ে সহায়তা করছে। আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। গত ৬ মাস ধরে আমি এভাবে ব্যাট করলেই ভালো বোধ করি। রান যতই করি না কেন।’