মুলতান জিতেছে মাত্র ৯ রানে
মুলতান জিতেছে মাত্র ৯ রানে

৫১৫ রানের টি–টোয়েন্টি ম্যাচে যত রেকর্ড

পাকিস্তান সুপার লিগে হচ্ছেটা কী! বাবর আজমই বোধ হয় কথাটা ঠিক বলেছিলেন। ২৮০ রানই সম্ভবত পিএসএলে নিরাপদ স্কোর। কারণ, ২০ ওভারের খেলায় ২৪০ রান যে নিরাপদ নয়, তা বাবরের চেয়ে আর কেই–বা ভালো জানে! টানা দুই ম্যাচে ২৪০ রানের বেশি লক্ষ্য দিয়েও হেরেছে পেশোয়ার জালমি।

আর গতকাল তো ২৬৩ রানের লক্ষ্য দিয়েও অনেকটা হেরেই যাচ্ছিল মুলতান সুলতান। কোয়েটার বিপক্ষে জিতেছে মাত্র ৯ রানে। রানবন্যার এই ম্যাচ জন্ম দিয়েছে অনেক রেকর্ডের।

গতকাল মুলতান সুলতান ও কোয়েটার ম্যাচে মোট রান হয়েছে ৫১৫। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে দুই ইনিংস মিলিয়ে এটাই সর্বোচ্চ রান। এর আগে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ৫০১, দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের টাইটান্স ও নাইটস ম্যাচে।

৩৬ বলে সেঞ্চুরি করার পর অধিনায়ক রিজওয়ানের সঙ্গে উসমান খান

আগে ব্যাট করে গতকাল ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মুলতান তোলে ২৬২ রান। পিএসএল তো বটেই, পাকিস্তানে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে এটাই সর্বোচ্চ। জবাবে কোয়েটা করে ২৫৩ রান। এটি পাকিস্তানে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের কীর্তি।

মূলত, পাকিস্তানে এর আগে ২৫০ রানের কোটাই পার করতে পারেনি কোনো দল। এর আগে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ২৪৭ রান। পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে ২০২১ সালে এই স্কোর তুলেছিল তারা।

বিপিএলে দুর্দান্ত খেলা উসমান খান কোয়েটার বিপক্ষে মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন। পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এটি। এর এক দিন আগেই মুলতানের হয়েই পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে রান তাড়ায় ৪১ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছিলেন রাইলি রুশো।

পাকিস্তানের স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে একটি। ২০২০ সালে পাকিস্তান ন্যাশনাল কাপে মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন খুশদিল শাহ। তিনিও পিএসএল খেলেন মুলতান সুলতানের হয়ে।

পাঁচ উইকেট নিয়েছেন আব্বাস আফ্রিদি

ইনিংসের ৮.২ ওভারে সেঞ্চুরির দেখা পান উসমান। এর আগে এত কম ওভারে কোনো ধরনের টি-টোয়েন্টিতেই সেঞ্চুরি হয়নি। ২০১৩ সালের আইপিএলে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ৮.৫ ওভারে সেঞ্চুরি করেছিলেন গেইল। ওই ম্যাচেই ২০ ওভারের ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ক্রিস গেইল। মাত্র ৩০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা।

বোঝাই যাচ্ছে, শনিবার রাতে বোলারদের ওপর কতটা ঝড় বয়ে গেছে। তবে সেই ঝড় সবচেয়ে ভালোভাবে টের পেয়েছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার কায়েস আহমেদ। ৪ ওভার বল করে এই স্পিনার দিয়েছেন ৭৭ রান। পিএসএলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে খরুচে বোলিং। এর আগে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন শহীদ আফ্রিদি। পিএসএলের গত আসরে ৪ ওভারে ৬৭ রান দিয়েছিলেন আফ্রিদি।

কায়েস আহমেদের বিপক্ষে মাত্র ১২ বল খেলেই ৫৪ রান করেছেন উসমান। নির্দিষ্ট কোনো বোলারের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি ব্ল্যাস্টে টম কারেনের বিপক্ষে ৫৩ রান নিয়েছিলেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। তবে তার জন্য তাঁকে খেলতে হয়েছিল ১৫ বল।