ব্রায়ান লারার কথা কি তাহলে সত্যি হতে যাচ্ছে?
বিশ্বকাপের আগে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে আফগানিস্তানকেও বেছে নিয়েছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি। সুপার এইটে গ্রুপ ১-এ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেই সম্ভাবনাই জাগিয়ে তুলেছে রশিদ খানের দল।
সেন্ট ভিনসেন্টে আজ অস্ট্রেলিয়াকে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানরা। আফগানিস্তানের বোলারদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১২৭ রানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি আফগানিস্তানের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়।
এমন কীর্তির পর কখনো আইসিসি টুর্নামেন্টের শেষ চারে না খেলা আফগানিস্তানের এখন সেমিফাইনালে খেলার দারুণ সুযোগ আছে। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর এখন সেমিফাইনাল খেলতে কী করতে হবে আফগানিস্তানকে?
আফগানিস্তানের জন্য কাজটি খুব সহজ না হলেও কঠিনও নয়। আফগানিস্তান তাদের পরের ম্যাচে খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সবার আগে আফগানিস্তানকে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হবে। আফগানিস্তান যদি বাংলাদেশকে হারায়, অন্যদিকে ভারত যদি পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয়, তাহলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সেমিফাইনালে চলে যাবে আফগানিস্তান।
যদি আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতে, আর অস্ট্রেলিয়াও ভারতের বিপক্ষে জয় পায়, তাহলেও সুযোগ আছে রশিদদের। সে ক্ষেত্রে আসবে রানরেটের হিসাব। অস্ট্রেলিয়া যদি ভারতকে ১ রানে হারায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে রানরেটে টপকে যেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের জিততে হবে ৩৬ রানে।
এই মুহূর্তে আফগানিস্তান আছে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা। ভারতের ৮ উইকেটে ১৮১ রানের জবাবে আফগানিস্তান অলআউট হয় ১৩৪ রানে। ৪৭ রানের বড় হারের কারণেই রানরেটে পিছিয়ে আফগানিস্তান। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার নেট রানরেট +০.২২৩ আর আফগানিস্তানের রানরেট -০.৬৫০।