আইপিএলে মাত্রই তো দুই ম্যাচ খেললেন। বোলিংটাও মন্দ করেননি। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পেলেও কাল নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটের দেখা পেয়েছেন অর্জুন টেন্ডুলকার।
ইনিংসের শেষ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে আউট করে আইপিএলে নিজের প্রথম উইকেটটা পান অর্জুন। তাতেই ম্যাচ শেষে অর্জুনের বাবা শচীন টেন্ডুলকারের টুইট—‘এবং অবশেষে একজন টেন্ডুলকার আইপিএলে উইকেট পেল।’
কী মনে হচ্ছে! মাত্র ২ ম্যাচে খেলা অর্জুনের জন্যই এই কথা? শচীন আসলে অর্জুনের ২ ম্যাচের সঙ্গে আইপিএলে নিজের খেলা ৭৮ ম্যাচ যোগ করে ‘একজন টেন্ডুলকার’–এর কথাটা টেনেছেন। সে ক্ষেত্রে আইপিএলে ৮০তম ম্যাচে এসে প্রথম উইকেট পেলেন ‘একজন টেন্ডুলকার’।
শচীনের এমন টুইটে আরেকটা দিকও স্পষ্ট হয় যে আইপিএল ব্যাটসম্যান শচীন উইকেট নিতেও চেয়েছিলেন। চাইলেই–বা দোষের কী! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীনের উইকেটের সংখ্যা তো ২০১।
একটিমাত্র যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন, সেই ম্যাচেও পেয়েছিলেন উইকেটের দেখা। শুধু যে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের ঘুম নষ্ট করেছেন—ব্যাপারটা মোটেই এমন নয়, মাঝেমধ্যে হাতও ঘুরিয়েছেন। তবে ৭৮ ম্যাচের আইপিএল ক্যারিয়ারেই শুধু উইকেটটা পাওয়া হয়নি।
আইপিএলে যে শচীন উইকেট পাননি, সেটা ভালো করেই মনে ছিল ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর। সে কারণেই তো অর্জুন উইকেট পেতে না পেতেই বলে উঠলেন, ‘আইপিএলে অর্জুন টেন্ডুলকারের প্রথম উইকেট। সে তাঁর বাবার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেল। তাঁর বাবা আইপিএলে কোনো উইকেট পাননি।’
এ তো গেল শচীন-রবি শাস্ত্রীর কথা; যিনি উইকেট পেয়েছেন, সেই অর্জুন কী বলছেন! আইপিএলে শেষ ওভারে ২০ রান। কঠিন হলেও আইপিএলে এমন সমীকরণ মেলানো ব্যাটসম্যানদের জন্য অসম্ভব নয়।
কীভাবে অর্জুন গতকাল সফল হয়েছেন, সেই কথা শুনিয়েছেন ম্যাচ শেষে, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল ওয়াইড অঞ্চলের কাছাকাছি বল করা, যাতে ব্যাটসম্যানদের মাঠের বড় অংশে মারতে হয়। বল করতে উন্মুখ ছিলাম। বল করতে ভালোবাসি, যেকোনো সময়ে বল করতে পারলেই খুশি। আমি আমার রিলিজ পয়েন্ট ও লেংথের দিকে মনোযোগ দিয়েছি। যদি বল সুইং করে, সেটা বোনাস; যদি না করে, তাতেও ঠিক আছে।’
বাবা শচীনের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে নিয়মিত কথা বলেন অর্জুন, সে কথাও জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, ‘ আমরা ক্রিকেট নিয়ে প্রচুর কথা বলি। আমরা খেলার কৌশল ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলি।’