বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আরেকটি হারের পর আবারও সাকিব আল হাসানকে কাঠগড়ায় তুললেন বীরেন্দর শেবাগ। সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে সাকিবের ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করে ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেছেন, তিনি বুঝতে পারছেন না, সাকিব নিজের অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করছেন না, নাকি এসবকে পাত্তাই দেন না!
প্রথম পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশের হারের পর ‘সাকিবের আরও আগেই অবসর নেওয়া উচিত ছিল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন শেবাগ। একই কথা বলেছেন এবারও।
শনিবার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ভারতের কাছে ৫০ রানে হারে বাংলাদেশ। রোহিত শর্মাদের ১৯৬ রান তাড়ায় সাকিব পাঁচে নেমে ৭ বলে ১১ রান করেন। ১৪তম ওভারে কুলদীপ যাদবকে ছয় মারার পরের বলে ক্যাচ তুলে যখন আউট হন, বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৯৮। সে সময় অন্য প্রান্তে ৩৮ রানে ব্যাট করছিলেন নাজমুল হোসেন।
ওই সময় সাকিবের ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করে শেবাগ ক্রিকবাজকে বলেন, ‘যখন ক্রিজে একজন সেট ব্যাটসম্যান আছে, তখন আপনার দরকার ছিল তাঁকে সহায়তা করা। মাঠে কিছুটা সময় টিকে থাকা এবং সময় কাটানো, যাতে ম্যাচ বের করে নেওয়ার চেষ্টা করা যায়। কিন্তু এর পরিবর্তে আপনি ৭ বলে ১১ রান করে আউট হয়ে গেলেন। ব্যাপারটা আমার ঠিক বুঝে আসেনি।’
ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে সাকিবই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নয়টি আসরেই খেলেছেন। শেবাগের মতে, সাকিবের ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞতার ছাপ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর এখন তরুণদের জন্য জায়গা করে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য সাবেক ভারতীয় ওপেনারের, ‘সে বেশ অভিজ্ঞ। কিন্তু সে কি অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে? নাকি এসবকে পাত্তাই দেয় না। নাকি এটা ভেবেছে যে লক্ষ্য তো অনেক বড়। মাত্র একটা ছক্কা মারলাম, এবার প্রতি বলেই ছক্কা মারব। ঠিক এ কারণেই আমি বলেছিলাম, ওর এখন তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
প্রথম পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশ ম্যাচের পর শেবাগের কড়া সমালোচনার পরের ম্যাচেই সাকিব নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর সাংবাদিকেরা তাঁকে ‘এটাই শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কি না’ জিজ্ঞেস করলে সাকিবের উত্তর ছিল এ রকম, ‘এটাই শেষ কি না, জানি না। পৃথিবীতে যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হওয়া সম্ভব। এগুলো আসলে আলোচনা করবে ক্রিকেট বোর্ড। তা ছাড়া আমার ব্যক্তিগত কিছু চিন্তা থাকতে পারে। তবে এগুলো আসলে এখানে আলোচনা করার কিছু নয়।’