পাকিস্তান দলে অস্বস্তির হাওয়া
পাকিস্তান দলে অস্বস্তির হাওয়া

সাবেক অধিনায়কের পর্যবেক্ষণ

এশিয়া কাপে পাকিস্তান দলে একতা ছিল না

হুট করেই পাকিস্তান দলে অস্বস্তির হাওয়া। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর টিম মিটিংয়ে বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম ও ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। যদিও আরেক সিনিয়র ক্রিকেটারের দাবি, এমন কিছুই হয়নি। গুঞ্জন সত্যি হোক কিংবা মিথ্যা, এমন খবরে দুশ্চিন্তায় পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মঈন খান। সাবেক এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানের মনে হয়েছে, এশিয়া কাপে পাকিস্তান দলে কোনো একতা ছিল না।

পাকিস্তান এবারের এশিয়া কাপ শুরু করেছিল ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর দল হিসেবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রানে হারানোর পরের ম্যাচে ভারতের তারকাবহুল ব্যাটিং লাইনআপকে বেশ ভুগিয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। যদিও বৃষ্টিতে সেই ম্যাচ ফলের মুখ দেখেনি।

এরপর বাংলাদেশকে ১৯৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে সুপার ফোর পর্ব শুরু করে পাকিস্তান। তবে পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রানের বড় হারে ধাক্কা খায় বাবরের দল। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালেও দলটি জিততে পারেনি। শেষ বলে ম্যাচ হারে ২ উইকেটের ব্যবধানে। এই দুই হারে অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়ে দলের ভেতরে। যার সূত্র ধরে আসে ড্রেসিংরুমে বাবর–আফ্রিদির বিতণ্ডার খবর।

ভারতের কাছে ২২৮ রানে হেরেছিল পাকিস্তান

জিও টিভির এক আলোচনায় প্রসঙ্গটি উঠলে মঈন খান জানান, এ ধরনের ঘটনায় টিম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা রাখা দরকার, ‘এটা অন্তত ভালো যে এই ধরনের খবর বড় টুর্নামেন্টের আগে সামনে এসেছে। এর ফলে আপনার শোধরানোর সুযোগ আছে। তবে ড্রেসিংরুমে লড়াই, বাগ্‌বিতণ্ডার খবর মিডিয়ায় আসা মোটেই ভালো বার্তা দেয় না। কারও যদি বাবরের সঙ্গে কোনো ইস্যু থাকে কিংবা প্রধান কোচ ও ক্রিকেট পরিচালকের অবর্তমানে বাবর ঠিকভাবে কোনো বিষয় সামলাতে না পারে, তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। আর (বোর্ডের) ক্রিকেট পরিচালক দলের সঙ্গে থাকেন না। এই ধরনের বিষয় তাদেরই সামলানো উচিত।’

মঈন খান

এশিয়া কাপে দলের মধ্যে একতা ছিল না বলে মনে হয়েছে মঈনের। এ বিষয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টেই দেখেছি (তাদের মধ্যে একতা নেই)। এ নিয়ে আমি আগেও কথা বলেছি। কেউই ম্যাচ চলাকালীন বাবরের দিকে এসে কথা বলেনি। রিজওয়ান আসেনি, এমনকি সহ-অধিনায়ক শাদাবও আসেনি। কেউই তার দিকে যায়নি। মনে হয়েছে সবাই বিক্ষিপ্ত, দলে কোনো একতা নেই।’