টেস্ট ক্রিকেট আর আইপিএলের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দের (উইন্ডো) প্রস্তাব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাঁর প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে এক বোর্ড কর্মকর্তা বলেছেন, একই দিনে চারটি ভিন্ন অঞ্চলে টেস্ট আয়োজন করলে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পর্যাপ্তসংখ্যক টেস্ট খেলা যাবে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্যও আলাদা সময় বের করা যাবে।
লন্ডনের লর্ডসে চলমান এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কানেক্টস সিম্পোজিয়ামে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে এসব আলোচনা উঠে আসে।
বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অর্থের টানে ক্রিকেটাররাও টুর্নামেন্টগুলোয় খেলতে আগ্রহী। যার ফলে ক্রিকেট বোর্ডগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, বিশেষ করে টেস্টে সবাইকে খেলানোর সুযোগ পায় না। গত বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএটোয়েন্টির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা নিউজিল্যান্ডে অনভিজ্ঞ দল পাঠিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল।
সর্বশেষ আইপিএলে ২০ কোটি রুপি দাম পাওয়া কামিন্স মনে করছেন, আর্থিক কারণে অনেকের কাছে জাতীয় দলের চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট অগ্রাধিকার পায়, ‘কিছু দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আবেদনের চেয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বেশি লোভনীয়। আমি যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চাই, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় অর্ধেক বা তিন ভাগের এক ভাগ ম্যাচই আমি মিস করে ফেলব।’
এ সমস্যা এড়াতে টেস্ট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টির জন্য সময় নির্দিষ্ট করা দরকার জানিয়ে কামিন্স বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ক্রিকেট হয় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত। ওই সময় আমরা যেভাবে টেস্ট খেলি, সেভাবে কেউই খেলে না। আমরা যদি আইপিএলের জন্য নির্দিষ্ট একটা উইন্ডো পেতাম, টেস্টের জন্যও একটা উইন্ডো পেতাম, তাহলে খেলোয়াড়দের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ আরও সহজ হয়ে যেত।’
অনুষ্ঠানে কামিন্সের আলাদা উইন্ডোর প্রস্তাবনা সমর্থন করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সিইও জনি গ্রেভ। কীভাবে উইন্ডো আলাদা করা যায়, তার একটি সমাধান বাতলে দিয়েছেন তিনি, ‘ব্যাপারটা এভাবে হতে পারে যে সিডনি বা ওয়েলিংটনে একটা টেস্ট শুরু হলো। এরপর একটা শুরু হলো কলকাতা বা ঢাকায়। পরেরটি লর্ডসে বা নিউল্যান্ডসে। আর সবশেষ কেনিংটন ওভাল। তাহলে আটটা টেস্ট দল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চারটা টেস্টে অংশ নিয়ে ফেলবে।’