দুই অধিনায়ক ভারতের রোহিত শর্মা (বাঁয়ে) ও পাকিস্তানের বাবর আজম
দুই অধিনায়ক ভারতের রোহিত শর্মা (বাঁয়ে) ও পাকিস্তানের বাবর আজম

ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে থাকবে ১১ হাজার নিরাপত্তারক্ষী

১৪ অক্টোবরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। মাঠের খেলা নিয়ে নানা আলোচনা তো আছেই, বাইরের পরিবেশও উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক আগে ‘হিন্দুবিরোধী ও ভারতবিদ্বেষী’ মন্তব্যের অভিযোগের রেশ ধরে রোষের মুখ ভারত ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানি এক নারী সঞ্চালককে

এমনকি পাকিস্তানি সমর্থক ও সাংবাদিকেরাও এখনো ভারতে যাওয়ার ভিসা পাননি। এমনকি আহমেদাবাদ স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও পেয়েছে মুম্বাই পুলিশ। সব মিলিয়ে ম্যাচের আগে সামনের কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এমন অবস্থায় যেকোনো ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতের প্রশাসন।

জানা গেছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল গান্ধীনগরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্শ সানঘাভি, ডিজিপি বিকাস সাহাই, পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে জিএস মালিক জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তাব্যবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সবকিছু ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কোনো দ্বিধা ছাড়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মালিক বলেছেন, ‘সাত হাজার পুলিশের সঙ্গে আমরা আরও চার হাজার নিরাপত্তারক্ষীকে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা রক্ষা ও সাম্প্রদায়িকভাবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োগ দেব। এই নিরাপত্তাকর্মীদের বাইরে এনএসজির তিনটি ‘হিট টিম’ এবং একটি ‘অ্যান্টি ড্রোন টিম’ নিয়োগ দেব। এ ছাড়া বোমা শনাক্তকরণ ও নিষ্ক্রিয়করণের জন্য আরও ৯টি দলকে আমরা কাজে লাগাব।’

আগামী ১৪ অক্টোবর বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে ভারত–পাকিস্তান

অবশ্য এটুকুই শুধু নয়, ম্যাচের দিন আইজি, ডিআইজিসহ চারজন সিনিয়র আইপিএস অফিসার এবং ২১ জন ডিসিপি র‍্যাঙ্কের অফিসার সবকিছু তদারকি করবেন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের যাবতীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন। এসবের বাইরে নিরাপত্তারক্ষায় আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন মালিক।

এদিকে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মুম্বাই পুলিশ সম্প্রতি অজ্ঞাত এক প্রেরকের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আঘাত করার হুমকিসহ একটি মেইল পেয়েছে। যেখানে আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামকে উড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। যারা মেইলটি পাঠিয়েছে, তারা ৫০০ কোটি রূপির পাশাপাশি শীর্ষ সন্ত্রাসী লরেন্স বিষ্ণয়ের মুক্তিও দাবি করেছে। জিএস মালিক এসব হুমকি যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন।