১৯৯ রান করেও ম্যাচ জেতা হলো না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে বেঙ্গালুরুর রানটা হেসেখেলে টপকে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। দাপুটে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ১৬.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। ৬ উইকেটের এই জয়ে এক লাফে পয়েন্ট তালিকার আট থেকে তিনে উঠে গেছে মুম্বাই। ১১ ম্যাচ খেলে মুম্বাইয়ের পয়েন্ট এখন ১২। সমান ম্যাচে বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট ১০।
বরাবরের মতো আজও মুম্বাইয়ের ইনিংসের শুরুতে বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন ওপেনার ঈশান কিষান। ২১ বল খেলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪২ রান করে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করেন এই বাঁহাতি। আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা ৮ বল খেলে ৭ রানে আউট হলেও ঈশানের ২০০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে আস্কিং রান রেট নাগালেই ছিল মুম্বাইয়ের।
এরপর বাকি কাজটা করেছেন সূর্যকুমার যাদব ও নেহাল ওয়াধেরা। দুজন মিলে ৬৬ বলে ১৪০ রান যোগ করলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বেঙ্গালুরু। সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে এসেছে মুম্বাই ইনিংসের সর্বোচ্চ ৮৩ রান। মাত্র ৩৫ বল খেলে ৭টি চারে ৬টি ছক্কার সৌজন্যে এ রান করেন তিনি। নেহাল ৩৪ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে আসেন।
রান করেছেন বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরাও। কিন্তু সেটা মুম্বাইয়ের মতো দ্রুতগতিতে নয়। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে বিরাট কোহলি ও অনুজ রাওয়াতের উইকেট হারালেও ফাফ ডু প্লেসি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সৌজন্যে বড় রানের পথেই এগোচ্ছিল বেঙ্গালুরু। ডু প্লেসি ৪১ বলে করেছেন ৬৫ রান। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে।
ম্যাক্সওয়েলের ৬৮ রান এসেছে ৩৩ বলে। ২০৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল। শেষের দিকে দিনেশ কার্তিক ১৮ বলে ৩০ রান করলে বেঙ্গালুরুর রান ৬ উইকেটে ১৯৯ রানে পৌঁছায়। তবে ওয়াংখেড়ে ব্যাটিং স্বর্গে এই রানও যথেষ্ট ছিল না।