বৃষ্টির কারণে ২৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবারও বল মাঠে গড়িয়েছে। মিরাজ তাঁর অসমাপ্ত ওভারের বাকি ২ বল করেছেন। এরপর প্রথমবার বোলিংয়ে এসেছেন তাসকিন আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৯ রান। জিততে দরকার আরও ২৬৩ রান।
হঠাৎ নামা বৃষ্টি থেমে গেল দ্রুতই। কিছুক্ষণের মধ্যেই খেলা আবার শুরু হবে। কোনো ওভার কাটা হয়নি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসবিষয়ক পরিষেবা অ্যাকুওয়েদার –এর তথ্য অনুযায়ী, ম্যাচের ভেন্যু সেন্ট কিটসের বাসেটেরেতে আজ বৃষ্টি নামার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু তাদের দেওয়া তথ্য এখন ভুল!
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডে আপাতত বন্ধ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের অষ্টম ওভার করতে এসেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম চার বলে তিনি দেন ৪ রান। এরপর হঠাৎ বৃষ্টি নামলে খেলোয়াড়দের মাঠ ছাড়তে বলেন মাঠের দুই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও লেসলি রেইফার। পিচ ও এর চারপাশ এখন কাভারে ঢাকা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৭.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৯ রান। জিততে দরকার আরও ২৭৩ রান।
আগের দুই ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাটিং করলেও আজ বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না শাই হোপ (৩)। হাসান মাহমুদের করা অফ স্টাম্পের বাইরে বল তাড়া করতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিলেন সৌম্য সরকারকে।
হোপ আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছেন এই সিরিজে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠা শেরফান রাদারফোর্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২ রান। জিততে দরকার আরও ২৯০ রান।
নিজের প্রথম ওভারে ১৪ রান দিলেন দ্বিতীয় ওভারে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নাসুম। তাঁর দ্বিতীয় বলে স্টাম্প থেকে সরে এসে সুইপ করতে চেয়েছিলেন অ্যাথানেজ। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনারের ফুল লেংথের বলটা আঘাত হানল স্টাম্পে।
অ্যাথানেজ আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রান। জিততে দরকার আরও ২৯৩ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের প্রথম ওভারটা করেছেন হাসান মাহমুদ। ওই ওভারে এসেছেন ৫ রান। তবে দ্বিতীয় ওভার করতে আসা নাসুম আহমেদের ওপর প্রথম বল থেকেই চড়াও হয়েছেন ব্র্যান্ডন কিং। ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ২ চার ও ১ ছক্কা মেরেছিলেন। কিন্তু ঝড়ের আভাস দিয়েই থামতে হয়েছে। উদ্বোধনী সঙ্গী অ্যালিক অ্যাথানেজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন কিং।
নাসুমের ওভারের শেষ বলে ১ রান নিতে চেয়েছিলেন কিং। কিন্তু অ্যাথানেজ সাড়া দেননি। ততক্ষণে পিচের প্রায় মাঝপথে চলে এসেছিলেন কিং। বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রোটা ছিল দারুণ। বাকি কাজ সারতে ভুল করেননি লিটন দাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২ ওভারে ১ উইকেটে ১৯ রান। জিততে দরকার আরও ৩০৩ রান।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২১ রান করেছে বাংলাদেশ।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে এর আগে কোনো দলই ৩০০ রানের বেশি তাড়া করতে জিততে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৯৪ রান তাড়া করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এই সিরিজেরই প্রথম ম্যাচে।
বাংলাদেশ দল সিরিজে প্রথমবারের মতো তিন শ পার করতে পেরেছে দুটি বড় জুটি এবং চারটি ফিফটির সৌজন্যে। শুরুতে ৯ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ গড়েন ১৩৬ রানের জুটি। দুবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া সৌম্য করেন ৭৩ বলে ৭৩, রানআউট হয়ে ফেরা মিরাজ করেন ৭৩ বলে ৭৭।
এরপর স্কোরবোর্ড ৫ উইকেটে ১৭১ রানে পরিণত হওয়ার পর দ্বিতীয় বড় জুটিটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এ দুজন যোগ করেছেন ১৫০ রান। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থেকেছেন ৬৩ বলে ৮৪ রান করে।
সিরিজের তিন ম্যাচেই ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহ আজকের ইনিংসে ৭ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪ ছক্কা। আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি ছোঁয়া জাকের আলী অপরাজিত থেকেছেন ৫ চার ২ ছক্কায় ৫৭ বলে ৬২ রান করে।
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৫ (মাহমুদউল্লাহ ৮৪, মিরাজ ৭৭, সৌম্য ৭৩, জাকের ৬২*; আলজারি ২/৪৩)।
৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লেডসকে ছয় মারলেন মাহমুদউল্লাহ, বাংলাদেশ দলের রান পৌঁছে গেল ৩০০–এর ঘরে। আগের ওভারেই রোমারিও শেফার্ডকে চার মেরে ৫৩ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেছেন জাকের আলী।
বাংলাদেশ: ৪৯ ওভারে ৩১১/৫। মাহমুদউল্লাহ ৭৪ ও জাকের আলী ৬২ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম দুই ওয়ানডের মতো শেষ ম্যাচেও ফিফটি করলেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান শেরফান রাদারফোর্ডকে চার মেরে ৪৮তম বলে পঞ্চাশে পৌঁছান। এটি তাঁর ২৩৮ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি।
ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটিতে এরই মধ্যে এক শ পেরিয়েছে।
বাংলাদেশ: ৪৭ ওভারে ২৭৯/৫। মাহমুদউল্লাহ ৫৭ ও জাকের আলী ৪৭ রানে ব্যাট করছেন।
৩৮তম ওভারের শেষ বলে গুড়াকেশ মোতিকে লং অনের ওপর দিয়ে লম্বা এক ছক্কা মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। এই ছক্কায় বাংলাদেশ দলের রান ২০০ পেরিয়েছে। ১৭১ রানে পঞ্চম উইকেটের পতনের পর জুটি বেঁধেছেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী।
বাংলাদেশ: ৩৮ ওভারে ২০৫/৫। মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী ১৭ রানে ব্যাট করছেন।
শেরফান রাদারফোর্ডের শর্ট ডেলিভারিটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। টেনে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে মিড–উইকেটে সহজ ক্যাচ তুললেন আফিফ (২৯ বলে ১৫)। ৬ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ৩১ ওভারে ১৭১/৫। মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী ০ রানে ব্যাট করছেন।
রাদারফোর্ডের থ্রোটা সরাসরিই স্টাম্প ভেঙেছে। আউটের আবেদন করলেও খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজেরও মনে হয়েছে সময়মতো ব্যাট পপিং ক্রিজে ঢুকেছিল।
কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। অল্পের জন্য লানআউট মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিরলেন ৭৩ বলে ৭৭ রান করে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছয়।
বাংলাদেশ: ৩০ ওভারে ১৭১/৪। আফিফ ১৫, মাহমুদউল্লাহ ০ রানে ব্যাট করছেন।
৫৮ বলে ৫০ ছুঁয়ে বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকার। জেডিয়াহ ব্লেডসকে তিন চারের পর গুড়াকেশ মোতিকে মেরেছেন ছক্কা।
তবে ছক্কার পরের বলেই এলবিডব্লু হয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। ৬ চার ৪ ছক্কার ইনিংসটি থেমেছে ৭৩ বলে ৭৩ রান করে। নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশ: ২৭ ওভারে ১৫৯/৩। মিরাজ ৭০, আফিফ ১০ রানে ব্যাট করছেন।
ইনিংসের ২০তম ওভারে তিনটি মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। গুড়াকেশ মোতির করা ওভারের প্রথম মিরাজ নিয়েছেন সিঙ্গেল, বাংলাদেশ দলের রান পৌঁছেছে ১০০–তে।
চতুর্থ বলে চার মেরে পঞ্চাশে পৌঁছেছেন মিরাজ। এই সিরিজে তাঁর দ্বিতীয়।
আর শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১৩তম ফিফটিতে পৌঁছেছেন সৌম্য সরকার।
তিন মাইলফলক ছোঁয়ার পরের ওভারেই জেডিয়াহ ব্লেডসের কাছ থেকে মিরাজ–সৌম্যরা তুলেছেন ১৬ রান।
বাংলাদেশ: ২১ ওভারে ১২৩/২। মিরাজ ৬৩, সৌম্য ৫৫ রানে ব্যাট করছেন।
৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জুটি গড়েছেন সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের পাল্টা আক্রমণে কিছুটা চাপমুক্ত হয়ে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ৫৬ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েছেন দুজন মিলে। বাংলাদেশের রান ৫০ পেরিয়েছে ১১তম ওভারে এসে।
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৬০/২।
তৃতীয় ওভারে তিন বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আলজারি জোসেফের করা দ্বিতীয় বলে পুল শট করতে গিয়ে বল ওপরে তুলে রাদারফোর্ডের সহজ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন তানজিদ হাসান (৫ বলে ০)।
এরপর ব্যাট করতে নামা লিটন দাস নিজের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়েছেন ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে (২ বলে ০)।
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ৯/২। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ।
এক ইঞ্চিও ডানে–বামে নড়তে হয়নি ব্র্যান্ডন কিংকে। প্রথম স্লিপে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেখানেই তাঁর হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার।
কিন্তু প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে আলজারি জোসেফের বলে ওঠা এই ক্যাচ দুই হাতে নিয়েও ফেলে দিয়েছেন কিং। সৌম্য ‘জীবন’ পেলেন ০ রানে।
একাদশে চার পরিবর্তন এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে জেদিয়াহ ব্লেডস ও আমির জাঙ্গু আজই প্রথম ওয়ানডে খেলবেন। এ ছাড়া দলে ফিরেছেন আলজারি জোসেফ ও অ্যালিক অ্যাথানেজ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়া জেইডেন সিলস চোটের কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্র্যান্ডন কিং, আমির জাঙ্গু, কিসি কার্টি, শাই হোপ, অ্যালিক অ্যাথানেজ, শেরফান রাদারফোর্ড, রোস্টন চেজ, রোমারিও শেফার্ড, গুড়াকেশ মোতি, আলজারি জোসেফ ও জেডিয়াহ ব্লেডস।
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তিন পেসার শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান ও নাহিদ রানাকে। তাঁদের জায়গায় দলে ঢুকেছেন তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতো শেষ ওয়ানডেতেও আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। টসে জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ, বেছে নিয়েছেন বোলিং।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টসে হেরে ব্যাটিং করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আর প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতেই আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিরাজ।