একজনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে জুটি বেঁধে ব্যাট করতে নেমেছেন। আরেকজন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচের অধিনায়ক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামার দিন দুজনকেই পাশে পেয়েছেন ইমরুল কায়েস।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩৯ টেস্ট খেলা এই ওপেনার আজ শুরু জাতীয় লিগে ঢাকা–খুলনা ম্যাচ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতির পর খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ইমরুলকে সম্মাননা জানানো হয়। ইমরুল মাঠে প্রবেশের সময় তাঁকে সঙ্গ দেন অভিষেক টেস্টের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ও দীর্ঘদিনের ওপেনিং সঙ্গী তামিম ইকবাল।
২০০৮ সালের অক্টোবরে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা ইমরুল পরের মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্লুমফন্টেইন টেস্ট দিয়ে এই সংস্করণের ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। মেহেরপুর থেকে উঠে আসা এই বাঁহাতি ঘরোয়ায় প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা শুরু করেন অবশ্য তারও আগে থেকে, ২০০৭ সালে খুলনায় ঢাকা বিভাগ বনাম খুলনা বিভাগ ম্যাচ দিয়ে।
১৭ বছর পর সেই ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে খুলনার জার্সিতেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। আগেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে রাখা ইমরুল মাঠে প্রবেশের সময় ঢাকা ও খুলনা বিভাগের খেলোয়াড়েরা তাঁকে দুই পাশে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান।
পরে খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন নুরুল হাসান সোহান, মোহাম্মদ মিঠুন, জিয়াউর রহমানরা। এ সময় মাঠে ছিলেন তামিম ও আশরাফুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৩ টেস্টসহ মোট ৮৭ ম্যাচে ইমরুলের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন তামিম। আর আশরাফুল তাঁর ওয়ানডে ও টেস্ট অভিষেক ম্যাচসহ মোট ৭ ম্যাচের অধিনায়ক ছিলেন।
আশরাফুল আজ মিরপুরে এসেছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। বিপিএলের দলটির সহকারী কোচের দায়িত্বে আছেন তিনি। সামনেই গ্লোবাল সুপার লিগ খেলতে যাওয়া দলটি আজ জার্সি উন্মোচন করেছে। আর তামিম নিয়মিতই মিরপুরে অনুশীলন করতে আসছেন।
ইমরুল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৩৭ ম্যাচে ২০ সেঞ্চুরি ও ২৭ ফিফটিতে মোট ৭৯৩০ রান করেছেন। ৩৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩ সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে রান ১৭৯৭। ২০১৯ সালের নভেম্বরে কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্টের পর এই সংস্করণে আর ডাক পাননি। এখন অবশ্য খেলাই ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে ৫০ ওভার ও ২০ ওভারের খেলা চালিয়ে যাবেন বলে গতকালই এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী ইমরুল।