আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করে পাকিস্তান। সেই হারের পর বেশ চাপেও পড়ে বাবর আজমের দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে চাপ কাটিয়ে সিরিজে ফিরে আসে সফরকারীরা। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও দাপুটে এক জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ৬ উইকেটের এ জয়ে ২–১ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নিলেন বাবর–রিজওয়ানরা।
ডাবলিনে আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক লরকান টাকারের (৭৩) ব্যাটিং নৈপুণ্যে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের ৭৪ বলে ১৩৯ রানের জুটিতে ৩ ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এর আগে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে সাইম আইয়ুবের (১৪) উইকেট হারালেও পাকিস্তানকে টেনে নেন রিজওয়ান। বাবরকে এক প্রান্তে রেখে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন রিজওয়ান। ৪.৪ ওভারেই দলীয় ৫০ পূরণ করে পাকিস্তান। ক্রেইগ ইয়াংয়ের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ৫ বলে রিজওয়ান তুলে নেন ১৮ রান। একটু পর তাঁর সঙ্গে রান তোলায় যোগ দেন বাবরও।
৭ ওভারেই পাকিস্তান তোলে ৭১ রান, ১০ ওভার শেষে ৯২। এর মধ্যে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন রিজওয়ান। ব্যাট হাতে এরপর বাবরও হয়ে ওঠেন আগ্রাসী। বেন হোয়াইটের করা ইনিংসের চতুর্দশ ওভারে বাবর একাই নেন ২৫ রান। সেই ওভারে নিজের ফিফটিও পূরণ করেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
শেষ ৩০ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। এরপর দ্রুত ফিরে যান রিজওয়ান, বাবর ও ইফতেখার আহমেদ। ৩৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ রান করেন রিজওয়ান। আর বাবরের ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৫ রান। ইফতেখার অবশ্য ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। অল্প সময়ের মধ্যে ৩ উইকেট হারালেও অনায়াস জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। ৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ রান নিয়ে বাকি কাজ সারেন আজম খান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে রস অ্যাডাইরের (৭) উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তাঁকে বোল্ড করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। শুরুতে উইকেট হারানোর এই চাপ অবশ্য বুঝতে দেননি আয়ারল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টাকার। অ্যান্ডি বলবার্নিকে সঙ্গে নিয়ে ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন টাকার। ১১তম ওভারেই দলকে ১০০ রান এনে দেন এ দুজন। তবে এই ওভারেই বলবার্নিকে (৩৫) হারায় স্বাগতিকেরা।
এরপর হ্যারি টেক্টরকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন টাকার। তবে ১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে টাকারকে ফিরিয়ে পাকিস্তান শিবিরে স্বস্তি এনে দেন ইমাদ ওয়াসিম। ডিপ এক্সট্রা কাভারে সাইম আইয়ুবকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে টাকারের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৭৩ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা আয়ারল্যান্ডের রানের গতিও শ্লথ হয়ে আসে।
টেক্টরের পরের চার ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন। ২০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন টেক্টর, নয়ে নামা গ্রাহাম হিউম ৬ বলে করেন ১০ রান। বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখান ম্যাচসেরা শাহিন আফ্রিদি। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। অন্যদের মধ্যে ৪৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। একটি করে উইকেট পান অবসর ভেঙে পাকিস্তান দলে ফেরা মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম।