এশিয়া কাপে স্পিন–দুর্দশার পর পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের দুয়ার খুলে যেতে পারে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের। নাসিম শাহ শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলতে না পারলে তাঁর বদলি যাঁদের ভাবা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে আছেন জামান খান, হাসান আলী।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অন্যতম দুর্বলতা ছিল স্পিন বোলিং। মাঝের ওভারগুলোতে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে তাঁরা। মোহাম্মদ নেওয়াজকে শুরুতে খেলিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছিল, পরে ফেরানো হয়েছে আবার। তবে আরও বড় করে সামনে এসেছে দলের সহ-অধিনায়ক শাদাব খানের পারফরম্যান্স।
এই লেগ স্পিনার ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টুর্নামেন্টে তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ৫.৮৮। তবে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৬.৭৩ রান, নিয়েছেন ১ উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও ৯ ওভারে ৫৫ রান দেন তিনি। আর বাঁহাতি স্পিনার নেওয়াজ ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ৮ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। সে ম্যাচের পর বাদ পড়েন। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিরে অবশ্য আঁটসাঁট বোলিং করেছিলেন। কিন্তু ম্যাচ হেরে বিদায় নেয় পাকিস্তান।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপে স্পিনে বিকল্প খুঁজছে পাকিস্তান। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, আবরারকে বিবেচনা করা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের দল নিয়ে নির্বাচকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে অধিনায়ক বাবর আজমের। পাকিস্তানের হয়ে ৬টি টেস্ট খেললেও এখনো ওয়ানডে অভিষেক হয়নি আবরারের।
তবে দলে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পক্ষে স্বাভাবিকভাবেই কেউ নন। আজ লাহোরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের সঙ্গে মিটিং হওয়ার কথা প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক ও অধিনায়ক বাবরের। দল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে আশরাফের সঙ্গে এ মিটিংয়ের পরই। আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করতে পারে পাকিস্তান।
অবশ্য শুধু স্পিন বোলারদের ফর্ম নয়, পাকিস্তানকে ভাবাচ্ছে একাধিক খেলোয়াড়ের চোট। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়ে উঠে যাওয়া নাসিম শাহ শুধু বিশ্বকাপের প্রথম অংশ নয়, ছিটকে যেতে পারেন পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে তাঁর জায়গায় অভিষেক হয়েছে জামানের। বিশ্বকাপে নাসিমের বিকল্প হিসেবে জামান ছাড়াও ভাবনায় আছেন শাহনেওয়াজ দাহানি, হাসান আলী, আরশাদ ইকবাল। দাহানিকে ব্যাকআপ হিসেবে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অবশ্য নাসিমের আগেই চোটে পড়া হারিস রউফ বিশ্বকাপের আগেই সেরে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে না–পারা ইমাম-উল-হক ও সালমান আগাকে নিয়েও তেমন চিন্তা নেই পাকিস্তানের।
আগামী ৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হায়দরাবাদে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে হওয়া সর্বশেষ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছিল দলটি, পরের দুই আসরে বাদ পড়েছিল এর আগেই। ১৯৯৯ সালের পর কোনো আসরে ফাইনালে উঠতে পারেনি পাকিস্তান।