মাত্র ৬৩ রানের লক্ষ্য। ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে ফাইনালে এই রান ছুঁতেও শঙ্কা জেগেছিল রংপুরের। ১৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল আকবর আলীর দল। তবে সেই শঙ্কা দূর করে শেষ পর্যন্ত জিতে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর। ঢাকাকে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেটে ও ৫২ বল হাতে রেখে।
প্রথম ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১৩ রান তোলা রংপুর ৫ রানের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট। দুটি উইকেট নেন স্পিনার আলিস আল ইসলাম। একটি আবু হায়দার রনি, অন্যটি আসে রানআউট থেকে।
সেই ঝড় সামলে ২৪ রানের জুটি গড়েন আরিফুল ইসলাম ও তানভীর হায়দার। দলীয় ৪২ রানে আরিফুল ১৪ রান করে আউট হলে তানভীরকে নিয়ে ২৩ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক (এনাম)। ৬৩ রানের লক্ষ্যে ২০ রানের দুটি জুটি গড়তে পারলে ম্যাচের ফল তো সহজেই বেরিয়ে যায়!
রংপুরের জেতার পথ সহজ করে দিয়েছেন বোলাররা। দুই পেসার মুকিদুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন বাবুর বোলিং তোপে ঢাকা মহানগরকে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে দেয় তারা, যা টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
বাংলাদেশে কোনো স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এই প্রথম কোনো দল ১০০ রানের নিচে অলআউট হলো। ২০১৬ সালের বিপিএল ফাইনালে রাজশাহী কিংস ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১০৩ রানে অলআউট হয়েছিল।
অথচ ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল বাউন্ডারিতে। মুকিদুল ইসলামের বলে ৪ মেরে ইনিংস শুরু করেন ইমরানুজ্জামান। তবে এরপর চলেছে পুরোটাই বোলারদের দাপট। মুকিদুল ও আলাউদ্দিন দলীয় ১৬ রানেই তুলে নিয়েছেন ঢাকার প্রথম ৫ উইকেট, যা এই টুর্নামেন্টে সর্বনিম্ন রানে ৫ উইকেট হারানোর রেকর্ড। এই দুই পেসারই ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক আলাউদ্দিন। তাঁর উইকেটসংখ্যা এখন ১৯। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মহানগর অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈম। তাঁর ব্যাটে এসেছে ৩১৬ রান। ফাইনালসেরা হয়েছেন মুকিদুল। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অলরাউন্ডার আবু হায়দার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা মহানগর: ৬২/১০ (শামসুর ১৪, আবু হায়দার ১৩; মুকিদুল ৩/১২, আলাউদ্দিন ৩/১২)
রংপুর বিভাগ: ৬৫/৫ (আরিফুল ১৪, এনামুল ১৪; আলিস ২/১৩, আবু হায়দার ১/৮)
ফল: রংপুর ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মুকিদুল ইসলাম
টুর্নামেন্টসেরা: আবু হায়দার