ভারতের ৪ নম্বর হবেন কে? আলোচিত এই প্রশ্নের উত্তরটা এখনো খুঁজে পায়নি ভারতীয় ক্রিকেট দল। সমস্যাটা নতুন নয়, তবে সমাধান মিলছে না। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে ৪ নম্বরে যুবরাজ সিং জায়গায় এখনো কেউ থিতু হতে পারেননি বলে মনে করেন খোদ অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজেই। তবে ভারতের সাবেক কোচ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক রবি শাস্ত্রী এই সমস্যা সমাধানের উপায় বাতলে দিলেন। ভারতের সাবেক এই কোচ মনে করেন, ভারতের নম্বর চারের সমাধান হতে পারেন বিরাট কোহলি।
২০১৭ সালে ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ওয়ানডে খেলা যুবরাজের পর ভারতের নম্বর ৪ জায়গাটা কেউ নিজের করে নিতে পারেননি। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেও ৪ নম্বর নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল ভারত। ৪ বছর পরের বিশ্বকাপেও সেই একই ব্যাটিং দুশ্চিন্তা আছে তাদের।
যুবরাজের অবসরের পর ৪ নম্বরে ভারতের হয়ে খেলেছেন ১৭ ব্যাটসম্যান। সেখানে সবচেয়ে সফল শ্রেয়াস আইয়ার—২০ ইনিংসে ৪৭.৩৫ গড় ও ৯৪.৩৭ স্ট্রাইক রেটে তাঁর রান ৮০৫। শ্রেয়াসের পরিসংখ্যান ভালো হলেও চোটের কারণে তিনিও দলে নিয়মিত নন। গত মার্চ থেকেই পিঠের চোটের কারণে মাঠের বাইরে শ্রেয়াস, যিনি এ বছরের জানুয়ারির পর কোনো ওয়ানডে খেলেননি। মিডল অর্ডারে খেলতে পারেন এমন আরেক ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুলও চোটের সঙ্গে লড়ছেন।
সম্প্রতি শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও ৪ নম্বর নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৪ নম্বরে ব্যাট করেছেন তিনজন। প্রথম ওয়ানডেতে ৪ নম্বরে ব্যাট করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া আর পরের দুই ম্যাচে অক্ষর প্যাটেল ও সঞ্জু স্যামসন।
রবি শাস্ত্রী পরীক্ষিত কোহলির ওপরই বাজিটা ধরতে চান। স্টার স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘বিরাটের যদি ৪ নম্বরে ব্যাটিং করার দরকার হয়, দলের স্বার্থে সে করবে। গত দুটি বিশ্বকাপে আমি ( কোচ থাকার সময়ে) এমন ভেবেছিলাম। টপ অর্ডারের ভারী ব্যাটিং লাইনআপটা ভাঙার জন্য এটা করতে চেয়েছি। কারণ, শুরুর দুই-তিনজন যদি আউট হয়ে যায়, তাহলে আমাদের আর সুযোগ থাকে না, এটা প্রমাণিত। যদি আপনি বিরাটের রেকর্ডের দিকে তাকান, তাঁর রেকর্ড ৪ নম্বরের জন্য যথেষ্ট ভালো।’
রেকর্ড বিবেচনায় রবি শাস্ত্রী কথাটা মন্দ বলেননি। ২৭৫ ইনিংসের ক্যারিয়ারে কোহলি ৪২ ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন চারে। এই ৩৯ ইনিংসে ৫৫.২১ গড়ে কোহলি রান করেছেন ১৭৬৭। সেঞ্চুরি করেছেন ৭টি। যদিও কোহলির পছন্দের ব্যাটিং পজিশন ৩ নম্বরই। রেকর্ড অন্তত সেই কথাই বলছে। এই পজিশনে ২১০ ইনিংসে ৬০.২১ গড়ে রান করেছেন ১০ হাজার ৭৭৭। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৩৯টি।