কনুই ও আঙুলে পাওয়া চোটে প্রায় দুই বছর ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন জফরা আর্চার। এ সময়ে মিস করেন দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তিন দফা শল্যবিদের ছুরির নিচেও যেতে হয়েছে তারকা ইংলিশ পেসারকে।
পুরোপুরি সেরে ওঠার পর এ বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ২০ দিয়ে মাঠে ফেরেন আর্চার। মার্চে বাংলাদেশ সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৫ ম্যাচ খেলে ভারতে যান আইপিএলে অংশ নিতে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছেনও। কিন্তু সে ম্যাচেই কনুইয়ের চোটে পড়ায় আবার ছিটকে গেছেন মাঠের বাইরে।
মুম্বাইয়ের সর্বশেষ ৪ ম্যাচ মিস করা আর্চার কবে খেলতে পারবেন, নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে ২৮ বছর বয়সী গতি তারকা বলেছেন, ‘পুরোপুরি ফিট হওয়ার পরেও গত দুই সপ্তাহ এভাবে (মাঠের বাইরে) কাটবে বলে আশা করিনি। বুঝতে পারছি দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকার প্রভাব পড়েছে। চোট থেকে ফিরেই শরীর শতভাগ সায় দিচ্ছে না। বেশ কয়েকবার মনে হয়েছে, চোট অনেক বেশি গুরুতর। জানি না, আমার পরবর্তী ম্যাচ কোনটা হবে। তবে সেরে ওঠার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আর্চারের চোটে পড়ার ধরনও দেখুন। একবার তো মাছের সেবা করতে গিয়ে সর্বনাশ ডেকে এনেছিলেন। ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় হাত থেকে পড়ে ভেঙে গেলে কাচ ঢুকে যায় তাঁর আঙুলে। সেই ঘটনায় ২০২১ সালের আইপিএল খেলা হয়নি। সে সময় তিনি ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসে। পরের বছর খেলতে পারবেন না জেনেও তাঁকে ৮ কোটি রুপিতে কিনে নেয় মুম্বাই। রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের হয়ে এ বছর প্রথমবার মাঠে নামেন। কিন্তু আর্চারের কথা শুনে মনে হচ্ছে, প্রথম ম্যাচটাই এ মৌসুমে মুম্বাইয়ের হয়ে তাঁর শেষ হয়ে থাকল।
গত বছর পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে শেষ করেছিল মুম্বাই। ১০ দলের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে মাত্র ৪ জয়ে হয়েছিল দশম। এবারও প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছিল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তবে পরের ৩ ম্যাচ জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা।
নিজে খেলতে না পারলেও সতীর্থদের পারফরম্যান্স উপভোগ করছেন আর্চার, ‘এখন পর্যন্ত আমরা হারের চেয়ে জিতেছি বেশি। গত বছরের তুলনায় আমরা বেশ অবস্থানে আছি। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। সবাই বেশ খোশমেজাজেই আছে। মুম্বাই আসলেই অনেক বড় মাপের ফ্র্যাঞ্চাইজি। আশা করি আমিও দলের জয়ে অবদান রাখতে পারব। সত্যি বলতে, আমি এখন আরও জোরে বোলিং করতে চাই।’