শতক করেও ঢাকা মহানগরকে জেতাতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম
শতক করেও ঢাকা মহানগরকে জেতাতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম

জাতীয় ক্রিকেট লিগ

নাঈমের শতকের সান্ত্বনা, খুলনা ও রাজশাহীর রোমাঞ্চকর জয়

জয়ের জন্য ঢাকা মহানগরের দরকার ছিল ৪১১ রান। রংপুরের বোলিং আক্রমণ খুব শক্তিশালী না হলেও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের তৃতীয়–চতুর্থ দিনের উইকেটে এত বড় রান তাড়া করে জেতা সহজ নয়। ম্যাচটা তারা জিতেওনি; বরং হেরেছে ৬৫ রানে। তবে হারার আগে মোহাম্মদ নাঈমের শতকের সুবাদে ভালো একটা লড়াই হলো, এটাই সান্ত্বনা ঢাকা মহানগরের।

কাল তৃতীয় দিনেই মহানগরের ওপেনার নাঈম ওয়ানডে মেজাজে খেলে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ। শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে দিন শেষে ৯৫ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যেই জাতীয় ক্রিকেট লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চতুর্থ ইনিংসে চার শর বেশি (সর্বোচ্চ ৪৫২) রান তাড়া করে জেতার স্বপ্ন দেখে মহানগর।

কিন্তু স্বপ্নটা শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। ২ উইকেটে ১৭৬ রানে দিন শুরু করা মহানগরকে আজ চতুর্থ ও শেষ দিনে জিততে হলে করতে হতো আরও ২৩৫ রান। কিন্তু রংপুর নিয়মিত উইকেট নেওয়ায় বড় জুটি গড়তে পারেনি মহানগর।

সকালের সেশনে নাঈম প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক করে আউট হন ১২০ রানে। ১২৪ বলের ইনিংসে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি। এরপর আর কেউ ৫০–ও ছাড়াতে পারেননি। মহানগর শেষ পর্যন্ত ৭৯.১ ওভারে ৩৪৫ রান করে অলআউট হলে ৬৫ রানে ম্যাচ জেতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আসাদুল্লাহ গালিব ও আবদুর গাফফার।

৬ উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রামের বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ

আজ শেষ হওয়া অন্য দুই ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে খুলনা ও রাজশাহী। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তৃতীয় দিন বিকেলেই ১০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা।

আজ সকালে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হারতে বসেছিল তারা। ৪৭ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেন খুলনাকে এনে দেন ১ উইকেটের জয়।

চট্টগ্রামের হয়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচটা খুলনার জন্য কঠিন করে তুলেছিলেন তরুণ বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর ১২তম ৫ উইকেট।

অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগের নিশ্চিত জেতা ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছেন। রাজশাহীর ছুড়ে দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বরিশাল অলআউট হয় ১৫৯ রানে।

রাজশাহীর ৯ রানের দারুণ জয়ে বড় অবদান অধিনায়ক তাইজুলের। ৫৫ রান দিয়ে তাইজুল ৪ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া তরুণ ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৩ উইকেট।