নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের দিনটি ট্রাভিস হেড-প্যাট কামিন্সরা কখনোই ভুলবেন না। গত ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের এই মাঠে ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া; যে জয়ে বল হাতে ভারতকে আটকে রাখার কাজটি করেছিলেন কামিন্স, আর রান তাড়ায় সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন হেড।
প্রায় সাড়ে চার মাস পর আজ সেই মাঠেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেললেন হেড-কামিন্সরা। প্রতিপক্ষ গুজরাট টাইটানস। তবে এ যাত্রায় দুই অস্ট্রেলীয় হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। আগের ম্যাচে আইপিএল রেকর্ড ২৭৭ রান করা হায়দরাবাদ ভালো খেলেনি দল হিসেবে। কামিন্সদের দলকে ১৬২ রানে আটকে দিয়ে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে গুজরাট টাইটানস।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন হেড। তবে আজ গুজরাটের বিপক্ষে থেমে গেছেন ১৪ বলে ১৯ রান করেই। হায়দরাবাদের হয়ে আগের দুই ম্যাচেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা হাইনরিখ ক্লাসেনও খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি। ১৪ বলের ইনিংসে ২ ছয় ১ চারে ২৪ রান তুলে বোল্ড হন রশিদ খানের বলে।
হায়দরাবাদের হয়ে বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি আসলে কেউই। সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস জিতেশ শর্মা ও আবদুল সামাদের।
২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬২ রানে থামে হায়দরাবাদ। গুজরাটের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন মোহিত শর্মা।
রান তাড়ায় নেমে গুজরাটের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কেউই ২৫-এর আগে আউট হননি। ঋদ্ধিমান সাহা ১৩ বলে ২৫ রান করে ফেরার পর অধিনায়ক শুবমান গিল ২৮ বলে ৩৬ ও সাই সুদর্শন ৩৬ বলে ৪৫ রান করে ম্যাচ মুঠোয় নিয়ে আসেন। ২৭ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয়ের কাজটি সারেন ডেভিড মিলার।
হায়দরাবাদের হয়ে কামিন্স ৪ ওভারে ২৮ রানে ১ উইকেট নেন। যদিও গুজরাটের তাতে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।
৩ ম্যাচে গুজরাটের জয় দুটি, সমান ম্যাচে হায়দরাবাদের একটি।