রাওয়ালপিন্ডিতে কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ
রাওয়ালপিন্ডিতে কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ

হাথুরুসিংহের সঙ্গে আরও অনেকেরই অবদান দেখেন নাজমূল

বাংলাদেশ দলের রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব পুরো দলকেই দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথাও আলাদা করে বলেছেন তিনি। তবে কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের মূল্যায়ন তিনি একটি মাত্র টেস্ট জয় দিয়েই করতে চান না।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাজমূল বলেন, ‘আমি যেভাবে দলটাকে খেলতে দেখলাম, মনে হয়েছে ড্রেসিংরুমটা ভালো অবস্থায় আছে। ড্রেসিংরুম ভালো রাখতে কোচকে ভূমিকা রাখতে হয়। সেটার কৃতিত্ব তাঁকে দিতে হবে।’

পরে যোগ করেন, ‘তবে একজন কোচকে মূল্যায়ন করতে হয় তাঁর লম্বা সময়ের কাজের ওপর। এই টেস্টে দলটা যেভাবে জিতেছে, এখানে দাপট দেখানোর সে শক্তি দেখেছি, সেটার কৃতিত্ব সবার। সেখানে প্রধান নির্বাচক ছিলেন, কোচ, সিনিয়র খেলোয়াড়, খেলোয়াড়…সবারই ভূমিকা আছে।’

রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কথা আলাদা করেই বলেছেন সাবেক কোচ ও ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমূল আবেদীন। ব্যাট হাতে ৭৭ রানের পর ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মিরাজ। তাঁর মধ্যে পরিপূর্ণ এক অলরাউন্ডারকেই দেখতে পাচ্ছেন নাজমূল।

বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন

মিরাজের ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি। প্রতিপক্ষ মনে করে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাকিটা এমনিই নিয়ে নেওয়া যাবে। সাতে মিরাজ আসে। তখন ওরা হয়তো ধরেই নেয় এই উইকেটগুলো পরের ২-৩ ওভারে পড়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি এবং ওখান থেকে বিশাল কন্ট্রিবিউশনও আসে। বেশ বড় অবদান এসেছে মিরাজ ও মুশফিকের জুটিতে।’

তবে ব্যাটসম্যান মিরাজের সেরাটা দেখা এখনো বাকি বলেই মনে করেন নাজমূল আবেদীন, ‘মিরাজ একজন ভালো ব্যাটসম্যান। কিন্তু আমার ধারণা, আমরা ওর সেরাটা এখনো দেখিনি।’ মিরাজের বোলিং নিয়ে তাঁর কথা, ‘ডানহাতি ব্যাটসম্যান যখন ব্যাটিংয়ে ছিল, অফস্পিনারদের জন্য উইকেটে কিছুটা সাহায্য ছিল। সেটা সে কাজে লাগিয়েছে। একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই সে গড়ে উঠছে। যেটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

পাকিস্তানে বাংলাদেশ দলের ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য ক্রিকেটাররা সিলেট ও চট্টগ্রামে দীর্ঘ আড়াই মাসের টাইগার্স ক্যাম্পের ভূমিকা দেখছেন। ২৫ মে থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পটা পরিচালনা করেছিলেন স্থানীয় কোচরা। মুশফিক-মুমিনুলের কথায় তাঁদের প্রশংসাও শোনা গেছে।

দলের সবাইকে জয়ের কৃতিত্ব দিচ্ছেন নাজমূল

নাজমূল আবেদীনও স্থানীয় কোচদের প্রশংসায় ভাসালেন, ‘আমরা চাইব যার যতটুকু অবদান আছে, সেটা যেন সামনে আসে। একটা দলে মানেই বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। এখানে অনেক ধরনের কাজ আছে। প্রত্যেকটা কাজ যদি সুচারুভাবে করতে পারি, তাহলে ভালো করার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিটি কাজেরই মূল্যায়ন করা উচিত। আমাদের স্থানীয় কোচরা অবশ্যই ভালো কাজ করেছে। তাদের অবদান তো অবশ্যই এই জয়ে আছে।’