সেঞ্চুরির পর ফখর জামান
সেঞ্চুরির পর ফখর জামান

১ম ওয়ানডে

পাকিস্তানকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস

রটারডামে পাকিস্তানকে বেশ আতঙ্কের মধ্যেই ফেলে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শুরুতে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে পাকিস্তানের করে ৬ উইকেটে ৩১৪ রান। রান তাড়ায় বিক্রমজিৎ সিং, টম কুপার আর স্কট এডওয়ার্ডসের দারুণ ব্যাটিংয়ে লড়াইটা জমিয়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত তারা থেমেছে ২৯৮ রানে। ১৬ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।

৩১৪ রানের জবাবে শুরুটা অবশ্য একেবারেই ভালো ছিল না নেদারল্যান্ডসের। নাসিম শাহ আর হারিস রউফের বলে ম্যাক্স ও’ডাউড ও  ওয়েসলি বারেসি উইকেট হারিয়ে (২৪/২) বিপদ পড়ে তারা। দলকে ৬২ রানে রেখে ফিরে যান বাস ডি লিডিও।

কিন্তু উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বিক্রমজিৎ সিং ছিলেন অটল। বিক্রমজিৎ-এর ব্যাটেই লড়াইয়ের রসদ পায় নেদারল্যান্ডস। রটারডামের তুলনামূলক ছোট মাঠে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে চোখ রাঙিয়েছেন বিক্রমজিৎ। ৯৮ বলে ৬৫ করেছেন, ৫টি বাউন্ডারিতে।

৬৫ রান করেছেন নেদারল্যান্ডসের বিক্রমজিৎ সিং

প্রথমে টম কুপার চতুর্থ উইকেট জুটিতে বিক্রমজিৎ-এর সঙ্গে গড়েন ১০৯ বলে ৯৭ রানের জুটি। ১৫৯ থেকে ১৬৭—এই ৮ রানে কুপার (৫৪ বলে ৬৫) ও বিক্রমজিত দুজনেই ফিরে যান।

এরপর ষষ্ঠ উইকেটে স্কট এডওয়ার্ডস ও তেজা নিদামানুরু ৪৯ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়ে খেলা জমিয়ে দেন। সপ্তম উইকেট জুটিতে ফন বিকের সঙ্গে এডওয়ার্ডস ৪৬ বলে ৫৮ রান যোগ করলে ডাচরা জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে।

শেষ ৫ ওভারে ৭৫ রান দরকার ছিল ডাচদের। শেষ পর্যন্ত অনভিজ্ঞতার কাছেই হার মানতে হয়েছে তাদের। এডওয়ার্ডস শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬০ বলে ৭১ রান করে। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ৬ বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা।

পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ, নাসিম শাহ—দুজনেই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ নেওয়াজ।

আরেকটি ফিফটির পর বাবর আজম

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের ওপর রাজত্ব করেছেন ফখর জামান। এক বছরের বেশি সময় পর পেয়েছেন ওয়ানডে সেঞ্চুরি। বাবর করেছেন ফিফটি। সর্বশেষ ৮ ম্যাচে এটি তাঁর সপ্তম ৫০ পেরোনো ইনিংস।

এর আগে ফখরের ১০৯ বলে ১০৯ ও বাবরের ৮৫ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করেই ৩০০ পেরোয় পাকিস্তান। টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় ধীর গতির। ভুগতে থাকা ইমাম-উল-হক ১৯ বলে ২ রান করে এলবিডব্লু হন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ফখর ও বাবর যোগ করেন ১৬৮ রান। ফখর ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১০৫ বলে, ইনিংসে ১২টি চারের সঙ্গে মারেন একটি ছক্কা। পাকিস্তান ৩০০ পেরোয় শেষ দিকে শাদাব খানের ২৮ বলে ৪৮ ও আগা সালমানের ১৬ বলে ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে।