বাংলাদেশ পেসার মারুফা আক্তারের দারুণ প্রশংসা করেছেন ভারতের ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা
বাংলাদেশ পেসার মারুফা আক্তারের দারুণ প্রশংসা করেছেন ভারতের ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় মারুফার বোলিং দেখার অপেক্ষায় মান্ধানা

বাংলাদেশ নারী দলের স্পিন শক্তি নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। নিজেদের স্পিন আক্রমণকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মনে করেন দলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কিন্তু ভারত সিরিজে স্পিনারদের ভিড়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে পেসার মারুফা আক্তারকে নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাঁর হাত ধরে এসেছে ঐতিহাসিক জয়। সে ম্যাচে মারুফার ২৯ রানে ৪ উইকেটের সৌজন্যে ভারতকে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে হারায় বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে এক উইকেট নেন তিনি। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তিনি ছিলেন ধারাবাহিক।

বেশ মসৃণ রানআপ, বিষাক্ত ইনসুইং ও উইকেট থেকে মুভমেন্ট আদায় করে নেওয়ার দক্ষতা ১৮ বছর বয়সী মারুফাকে বাকি খেলোয়াড়দের থেকে আলাদা করছে। প্রতিপক্ষ দল ভারতের সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা তো মারুফার আগুনে বোলিংয়ের দারুণ ভক্ত। মান্ধানাকে নারী ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার ধরা হয়। তিনিই বলছেন, ভবিষ্যতে বড় ক্রিকেটার হয়ে ওঠার সব গুণই আছে মারুফার।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে মারুফা

আজ সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে মান্ধানাকে মারুফার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তার বয়স কত, এটা কোনো ব্যাপার নয়। মাঠে যেভাবে সে নিজেকে উপস্থাপন করছে, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে যেভাবে সে নিজেকে মেলে ধরছে, তা অসাধারণ। তার ভেতরে ভালো ক্রিকেটার হয়ে ওঠার যে আগুন দেখেছি…আমি নিশ্চিত, সামনের পথচলায় সে বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ একজন ক্রিকেটার হয়ে উঠবে।’

ভারতের বিপক্ষে নিজেদের বোলিং শক্তির কথা চিন্তা করে স্পিন–সহায়ক উইকেটে খেলছে বাংলাদেশ দল। এমন উইকেটেই মারুফার বোলিং প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার পেস–সহায়ক উইকেটে মারুফা কেমন করেন, সেটা দেখতে মুখিয়ে আছেন মান্ধানা, ‘তার অ্যাকশন একদমই আলাদা। সে যতটা জোরে বল করে, অ্যাকশনের কারণেই আরও দ্রুতগতির মনে হয়। তার রিলিজ পয়েন্ট থেকে আমাদের ধারণার চেয়ে আরেকটু বেশি স্কিড করে তার বল। তাই (ব্যাটারদের) আরেকটু বেশি প্রস্তুত থাকতে হয়। এ ধরনের উইকেট অবশ্যই তাকে খুব একটা সহায়তা করছে না। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় সে কেমন করে, দেখার অপেক্ষা থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা

মারুফার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্পটাও ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করছে। করোনাভাইরাসের সময় নীলফামারীতে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করতেন মারুফা। সেখান থেকে মারুফার ক্রিকেটার হয়ে ওঠা, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ভালো করে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার গল্পটা এখন সবার জানা। মান্ধানার কথায়ও সেটা উঠে এল, ‘সে খুব ভালো একজন ক্রিকেটার। গত ম্যাচ শেষে তার সঙ্গে খানিকটা কথা হয়েছে আমার। তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছি যে তার পারফরম্যান্স আমাদের সবাইকে দারুণ অনুপ্রাণিত করেছে।’