টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নামের পাশে ৯৯ উইকেট নিয়ে আজ খেলতে নেমেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হলো ইংল্যান্ডের ইনিংসের ১৪তম এবং ম্যাচে মোস্তাফিজের তৃতীয় ওভার পর্যন্ত। প্রথম বলটাই ডেভিড ম্যালানের ব্যাটের কানায় লেগে গেল উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন মোস্তাফিজ।
প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে একটা জায়গায় সাকিবের চেয়ে এগিয়ে মোস্তাফিজ। টি-টোয়েন্টিতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অধিনায়কের ১০০ উইকেট পেতে লেগেছিল ৮৪ ম্যাচ, মোস্তাফিজ আজ খেলতে নেমেছেন নিজের ক্যারিয়ারের ৮১ নম্বর টি-টোয়েন্টি। সাকিবের লেগেছিল ১৪ বছর ২৮৪ দিন। মোস্তাফিজ মাইলফলকটা স্পর্শ করলেন মাত্র ৮ বছরেই। বোঝাই যাচ্ছে, সাকিবরা যখন শুরু করেছিলেন তার চেয়ে এখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সংখ্যা কত বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পাওয়া মাত্র ৬ষ্ঠ বোলার মোস্তাফিজ। এ তালিকায় সবার ওপরের নামটা নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির (১৩৪ উইকেট। সাকিব আছেন দুই নম্বরে। মোস্তাফিজ ও সাকিবের মাঝে আছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান (১২৬), নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধি (১১৪) ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা (১০৭)।
এই মিরপুরেই ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মোস্তাফিজের। প্রথম উইকেটটাও সারা জীবন মনে রাখার মতো—শহীদ আফ্রিদিকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে শুরু হয়েছিল মোস্তাফিজের। ওই ম্যাচ ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। পরের এলবিডব্লিউ করেছিলেন মোহাম্মদ হাফিজকে।
টি-টোয়েন্টি দিয়ে অভিষেক, তবে মোস্তাফিজকে ক্রিকেট বিশ্ব আসলে চিনেছিল ওই বছরই ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। দুই সিরিজ মিলিয়ে ৬টি ওয়ানডেতে ১৮ উইকেট নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিলেন মোস্তাফিজ। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডেতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন মোস্তাফিজ।
ওয়ানডেতে চমকে দিয়ে শুরুর পরও আসলে ধীরে ধীরে মোস্তাফিজের ক্যারিয়ারটা টি-টোয়েন্টিমুখীই হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে তো মোস্তাফিজ অপরিহার্যই ছিলেন কিছুদিন আগ পর্যন্তও, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএলেও খেলেন বেশ নিয়মিত।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই ১০০ উইকেটের মধ্যে মোস্তাফিজ সবচেয়ে বেশিবার আউট করেছেন অনুমিতভাবে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের, ওদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ১৩ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২৪টি উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে ১৫ উইকেট।