রিপ্লে দেখছি না তো—মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে আজ জেইক ফ্রেজার-ম্যাগার্কের ব্যাটিং দেখে এমনটা কারও মনে হতেই পারে! বেশি দিনও তো নয়, ১০ দিন আগেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ঠিক এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংই করেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান।
সেদিনের ইনিংসটির সঙ্গে ফ্রেজার-ম্যাগার্কের আজকের ইনিংসের অনেক মিল। সেদিন হায়দরাবাদের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন মাত্র ১৫ বলে, যেটি এবারের আইপিএলে দ্রুততম।
আজ মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষেও ফিফটি ১৫ বলেই। পিযুষ চাওলার বলে আউট হওয়ার আগে আজ ১১ চার ও ৬ ছক্কায় ফ্রেজার-ম্যাগার্ক খেলেছেন ২৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংস।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ক্রিস গেইলের। ২০১৩ সালে পুনের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর হয়ে ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গেইল। ম্যাগার্কের ইনিংসের একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল গেইলের সেই রেকর্ড হুমকির মুখেই পড়তে যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। সেঞ্চুরি না হলেও ম্যাগার্কের ইনিংসের মাহাত্ম্য খুব একটা কমেনি। অবশ্য এবারের আইপিএলে এমন ইনিংস আরও কয়েকটি দেখা গেছে।
৮৪ রানের ইনিংসে ম্যাগার্ক পাওয়ার প্লেতে করেছেন ৭৮ রান। এটি অবশ্য আইপিএলে পাওয়ার প্লেতে কোনো একজন ব্যাটসম্যানের রান তোলার রেকর্ড নয়। এবারের আইপিএলেই পাওয়ার প্লেতে এর চেয়ে বেশি রান তুলেছেন ট্রাভিস হেড। এই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষেই পাওয়ার প্লেতে ৮৪ রান করেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হেড।
সব মৌসুম মিলিয়ে আবার হেডের এটিই সর্বোচ্চ নয়। পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড মিস্টার আইপিএল হিসেবে পরিচিত চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার। ২০১৪ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে ৮৭ রান করেছিলেন রায়না। এই বাঁহাতি ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মাত্র ২৫ বলে। বোঝাই যাচ্ছে সেদিন কী ঝড়টাই না তুলেছিলেন রায়না! রায়নার সেই ঝড়ের সমাপ্তি সেদিন হয়েছিল রানআউটে কাটা পড়ে।
আজ ম্যাগার্ক ৮৪ রানের ইনিংসে ৮০ রানই করেছেন বাউন্ডারি থেকে। অর্থাৎ, মোট রানের ৯৫.২৩ শতাংশই তিনি করেছেন বাউন্ডারিতে। বাউন্ডারি থেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও রায়নারই। সেই ৮৭ রানের ইনিংসের ৮৪ রানই রায়না করেছিলেন ছক্কা আর চার থেকে। শতাংশের হিসেবে ৯৬.৫৫ শতাংশ।