সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান

সাকিবকে যেকোনো একটা বেছে নিতে বললেন নাজমুল

জল্পনাকল্পনার অবসান হলো না। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের ধানমন্ডির কার্যালয়ে আলোচনায় বসেছিলেন বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা। কিন্তু সে আলোচনা শেষ হয়েছে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই, হয়নি এশিয়া কাপের দল ঘোষণাও। সাকিব যে এখনো বিসিবির চিঠির উত্তরই দেননি!

বেটিং–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজের সঙ্গে পণ্যদূতের চুক্তি বাতিল করতে সাকিবকে আগেই চিঠি দিয়েছে বিসিবি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বেটউইনার নিউজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিসিবিকে নিশ্চিত করতে হবে। চিঠির উত্তর দেওয়ার সময় পেরিয়ে গেলেও সাকিবের দিক থেকে এখনো কোনো সাড়া পায়নি বিসিবি। এখনো তারা আছে সাকিবের চিঠির অপেক্ষাতেই।

আর তাতে ঝুলে আছে এশিয়া কাপের দল ঘোষণাও। আজকের মধ্যে সাকিবের চিঠির উত্তর পেলে সেটি ঘোষিত হতে পারে আগামীকাল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও আজ সংবাদমাধ্যমকে সে রকমই বলেছেন।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান

নিজেদের মধ্যে আলোচনা শেষে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘এখানে দ্বিতীয় চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। বিসিবি প্রথম থেকে যে অবস্থায় ছিল, এখনো তাই আছে। তখনই আমি বলেছিলাম, এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। বিসিবি কোনোভাবেই এটা গ্রহণ করবে না। যে কারণে আশরাফুলের মতো খেলোয়াড়কেও আমাদের বাদ দিতে হয়েছে।’ তাঁর কথায় পরিষ্কার—সাকিব বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি থেকে সরে না এলে তাঁকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দল।

বিসিবি কর্তাদের সভাকে ঘিরে কৌতূহল ছিল সবার। দুপুর থেকেই তাই বিসিবি সভাপতির কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমেছিল গণমাধ্যমকর্মীদের। সভা শেষে নাজমুল হাসান বলেছেন, বেটিং–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাকিবের কোনোরকম সম্পৃক্ততা বিসিবি মানবে না। সম্পৃক্ততা থাকলে অধিনায়কত্ব দূরের কথা, দলেই থাকতে পারবেন না সাকিব, ‘কোনোরকম সম্পৃক্ততাই থাকা সম্ভব না। সম্পূর্ণভাবে ওইখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের দলেই থাকবে না, অধিনায়ক তো পরের ধাপ। এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এটা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া। এটা খুবই পরিষ্কার।’

সাকিবের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো রকমের দর কষাকষিও করবে না বিসিবি, ‘এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এটা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া। এটা খুবই পরিষ্কার। ওরা বেটিং সাইটের “সারোগেট”, এ নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। ওরা মূলত একটা বেটিং কোম্পানি যারা জুয়া, ক্যাসিনো, বেটিং এগুলো নিয়ে জড়িত। আপনারা বলতে পারেন এটা তো নিউজ পোর্টাল। কিন্তু বেটউইনার তো জুয়ার অংশ। আমরা বলেছি সম্পর্কই থাকতে পারবে না। সাকিব দেশের জন্য খেলবে নাকি বেটিংয়ে থাকবে এটা তার সিদ্ধান্ত। এখানে বোঝানোর কিছু নেই।’

বোর্ড সভাপতি পরিষ্কার ভাষায়ই বলেছেন, সাকিবকে যেকোনো একটা বেছে নিতে হবে—হয় বাংলাদেশের হয়ে খেলা অথবা বেটিং–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা। এখন সাকিব কোনটা বেছে নেন, সেটাই দেখার।