শরীফুল ইসলাম
শরীফুল ইসলাম

এলপিএলে এবার বোলিংই পেলেন না শরীফুল

অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতাই বটে!

এলপিএলে বাংলাদেশ পেসার শরীফুল ইসলাম খেললেন, তবে এক ওভারও বোলিং পেলেন না। না, চোট বা অন্য কোনো সমস্যা নয়, ৭ ওভারের ম্যাচে ক্যান্ডি ফ্যালকনসের অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা শরীফুলকে বিবেচনাই করেননি। কম রানের এই ম্যাচে জাফনা কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে শরীফুলের দল।

কাল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ক্যান্ডি ও জাফনার ম্যাচটির দৈর্ঘ্য বৃষ্টির কারণে ৭ ওভারে নেমে আসে। মোহাম্মদ হারিস ১৩ বলে ৩০ ও দিনেশ চান্দিমালের ১৩ বলে ২১ রানের সৌজন্যে ৫ উইকেটে ৭৮ রান করে ক্যান্ডি, যা ৭ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় জাফনা।

ম্যাচের শেষ ২ ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল জাফনার। তখনো শরীফুলের হাতে বল না দিয়ে পার্টটাইম বোলার আন্দ্রে ফ্লেচারকে বোলিংয়ে আনেন হাসারাঙ্গা, যাঁর কিনা সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ১০ উইকেটও নেই। ফ্লেচারের ৫ বলেই ১৩ রান নিয়ে নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। শরীফুলের মতো বোলিংয়ে আনা হয়নি পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ হাসনাইনকেও।

ম্যাচ শেষে হাসারাঙ্গার কথা থেকে এর একটা ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়, ‘সকাল থেকেই উইকেটে কাভার ছিল, জানতাম উইকেট ধীরগতির ছিল। চেয়েছিলাম ৭৫ রানের বেশি করতে। সেটা করেছি, তবে প্রথম ৩-৪ ওভার পর আমরা ভালো বোলিং করিনি।’

অর্থাৎ ধীরগতির উইকেটের জন্যই শরীফুলকে বিবেচনা করেননি হাসারাঙ্গা। বোলিং করিয়েছেন দুই মিডিয়াম পেসার দাসুন শানাকা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে দিয়ে।

এদিন হয়তো বোলিং পাননি কম ওভারের ম্যাচ বলে, তবে এলপিএলে বল হাতে ছন্দেও নেই শরীফুল। হাসারাঙ্গা সেটাও বিবেচনা করতে পারেন। এখন পর্যন্ত শরীফুল ৪ ইনিংসে বোলিং করে ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ১১.৬১ রান করে। উইকেটও যে বেশি নিয়েছেন, সেটাও নয়। ৪ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৪টি।

এলপিএলে শরীফুল ছাড়া খেলছেন বাংলাদেশের দুই পেসার—মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। এই দুজনও রান দিচ্ছেন হাত খুলে। মোস্তাফিজ, তাসকিন, শরীফুল—এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ইকোনমি রেট তাসকিনের। তবে সেটিও ১০.২৭। কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে ৩ ম্যাচে উইকেটও নিয়েছেন মাত্র ৪টি। আর মোস্তাফিজ ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ১১.০৬ করে। ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে উইকেট নিয়েছেন ৪ ম্যাচে ৫টি।