সরকারের অনুমোদন না থাকায় ২০১৩ সালের পর পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলেনি ভারত। পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া তো দূরের কথা। এ সময় দুই দল মুখোমুখি হয়েছে শুধু আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টে, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তাই ব্যাট হাতে সারা দুনিয়া জয় করলেও পাকিস্তানের মাটিতে খেলা হয়নি বিরাট কোহলির। সে সম্ভাবনাও কম। সামনেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, যে টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান।
এবারও পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে গড়িমসি শুরু করেছে ভারত। এসব দেখে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি অন্য রকম এক ‘লোভ’ই দেখিয়েছেন কোহলিকে!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ২৪ স্পোর্টসকে আফ্রিদি বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি যদি পাকিস্তানে আসে, ভারতের ভালোবাসা ও আতিথেয়তা ভুলে যাবে সে। পাকিস্তানে তার জনপ্রিয়তা অনেক, এখানে লোকে তাকে অনেক পছন্দ করে। আমার পছন্দের ক্রিকেটারও কোহলি।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করার কথা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে। এরই মধ্যে তিনটি ভেন্যু চূড়ান্ত করে খসড়া সূচিও তৈরি করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভেন্যু হিসেবে লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে ভারতের সব ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে, এমনকি রোহিত-কোহলিরা সেমিফাইনালে উঠলে, সেটিও হবে সেখানেই।
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। এর বদলে নিজেদের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বা শ্রীলঙ্কায় খেলতে চায় তারা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল কর্তৃপক্ষ আইসিসির কাছে এমন অনুরোধই করতে যাচ্ছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।
আফ্রিদি ক্রিকেটকে রাজনীতির বাইরে রাখার অনুরোধ করেছেন, ‘ভারতীয় দলকে স্বাগত জানাই। পাকিস্তানের হয়ে যখন সফরে যেতাম, ভারতে আমরা অনেক সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি। ভারত যখন ২০০৫-০৬ মৌসুমে এখানে সফরে এসেছিল, তারাও অনেক ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছিল। তারা সফরটি ও আতিথেয়তা উপভোগ করেছিল। আমার মনে হয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্পর্ক ও ক্রিকেট সফরকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত।’