মিকি আর্থারের কোচিং পদ্ধতি পছন্দ নয় পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ রাজার
মিকি আর্থারের কোচিং পদ্ধতি পছন্দ নয় পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ রাজার

আর্থারের কোচিং পদ্ধতিকে ‘সার্কাস’ বললেন রমিজ রাজা

মিকি আর্থার যোগ দিয়েছেন পাকিস্তান দলের সঙ্গে। জাতীয় ক্রিকেট দলের ‘অনলাইন কোচ’ তিনি। ইংলিশ কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের কোচের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সামলাবেন পাকিস্তান দলের দায়িত্বও।

রমিজ রাজাকে বিদায় করে নাজাম শেঠি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হওয়ার পর মিকি আর্থারকে আবারও কোচের পদে ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও আর্থারের দায়িত্ব খণ্ডকালীন। ইংলিশ কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের কোচের দায়িত্ব ছাড়েননি তিনি। একই সঙ্গে দুই জায়গার দুটি দলের দায়িত্ব কীভাবে সামলাবেন এই প্রোটিয়া কোচ, এটি নিয়ে বিতর্ক থাকছেই।

আর্থারের এই দূরশিক্ষণ পদ্ধতির কোচিং পছন্দ করছেন না পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা, ‘এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ক্রিকেট দলে এমন একজন কোচ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যিনি দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে কাজ করবেন। ব্যাপারটাকে আমার কাছে সার্কাস মনে হচ্ছে।’

পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান নাজাম শেঠির কড়া সমালোচনা করছেন রমিজ। তাঁকে ‘ক্রিকেট না জানা, না বোঝা’ চেয়ারম্যানও বলছেন তিনি, ‘এই পিসিবি চেয়ারম্যান ক্রিকেট বোঝেনও না, জানেনও না। তিনি কোনো দিন ক্রিকেট খেলেছেন বলে মনে হয় না। আর খেললেও আমি নিশ্চিত, তিনি ক্লাব দলেরও প্রথম একাদশে কখনোই সুযোগ পাননি। তিনি পিসিবি চালাচ্ছেন একদল আপাদমস্তক রাজনৈতিক ও ছোট মনের ক্লাব কর্তাদের দিয়ে। পিসিবি চেয়ারম্যানের বেতন আবার ১২ লাখ রুপি।’

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রমিজ রাজাকে পিসিবির চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত বছর ইমরান খান সরকারের পতনের পর কিছুদিন দায়িত্বে থাকলেও শেষ পর্যন্ত নাজাম শেঠির কাছে চেয়ারম্যানের পদ হারাতে হয় ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম এই সদস্যকে।

এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে পাকিস্তান

নাজাম শেঠি দায়িত্ব নিয়েই আর্থারকে কোচের পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু এ নিয়োগ বেশ অদ্ভুতই। ডার্বিশায়ারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি পাকিস্তান দলেরও কোচের পদে থাকবেন। আর্থারের দায়িত্ব হচ্ছে জাতীয় দলের অনুশীলন কৌশল তৈরি ও বাস্তবায়ন করা। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন।