বৃষ্টির কারণে কানপুর টেস্টের প্রথম দিন খেলা হলো মাত্র ৩৫ ওভার। আজ দ্বিতীয় দিন তো একটা বলও মাঠে গড়ায়নি। বাংলাদেশ ও ভারত, দুই দলই সকালে মাঠে এলেও কিছুক্ষণ পর হোটেলে ফিরে যায়। শেষ পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টির কাছে হার মেনে বেলা ২টার দিকে দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা।
দুই দলের খেলোয়াড়দের জন্যই বিষয়টি ছিল হতাশার। বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন সে হতাশা লুকাননি, ‘খেলোয়াড় হিসেবে অবশ্যই হতাশাজনক ব্যাপার। অনেক কষ্ট করে খেলাটা শুরু হলো। কিছুক্ষণ খেলাও হলো। এরপর বন্ধ হয়ে গেল। আজ সারা দিনই খেলা হয়নি। খেলোয়াড়দের জন্য এটা হতাশাজনক। কিন্তু কিছু করারও নেই। তবে খেলা হলে ভালো লাগত।’
গতকাল প্রথম দিনে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৩৫ ওভারে ৩ উইকেট করে ১০৭ রান করেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন। ম্যাচের পরিস্থিতিটাকে নাজমুল কীভাবে দেখছেন?
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার মনে হয় একটা উইকেট আমাদের বেশি পড়েছে, ব্যাটিংয়ে শুরুটাও ভালো হয়েছিল আমাদের। এখনো ভালোই আছে। আমি বলব না যে খুব খারাপ অবস্থানে আছি। আমাদের অনেক ব্যাটসম্যান আছে। এখান থেকে যদি দুটি বড় জুটি হয়, তাহলে আমরা খুব ভালো অবস্থানে যেতে পারব। এই মুহূর্তে যদি খেলার অবস্থান দেখি, তাহলে আমি বলব আমরা মাঝামাঝি একটা জায়গায় আছি।’
৫৭ বলে ৩১ রান করে বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন নাজমুল নিজেই। একটি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক হয়তো নিজের আউট হওয়াকেই বুঝিয়েছেন।
বৃষ্টির দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে খেললে যে ব্যাটিংয়ের ছন্দটা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়, সেই চ্যালেঞ্জের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন নাজমুল, ‘উইকেট ভালোই ছিল। এখানে চ্যালেঞ্জ যেটা বেশি, সেটা অন অ্যান্ড অফ খেলা হচ্ছে। যেকোনো সময় বৃষ্টির একটা বাধা থাকেই। এটা মাথায় নিয়ে ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করছে, এটা একটা কঠিন ব্যাপার।’
দুশ্চিন্তা আছে উইকেট নিয়েও। টানা দুই দিন কাভারে ঢাকা উইকেটে আবার যখন খেলা শুরু হবে, তখন কেমন আচরণ করবে কে জানে! বৃষ্টি শেষে ঘোমটা খোলা উইকেটে যে ব্যাটিং করার কাজটা সহজ হবে না, সেটাই বললেন নাজমুল, ‘তা ছাড়া আমি বলব উইকেট ভালোই ছিল। সামনে হয়তো ডে থ্রি, ডে ফোর…যেহেতু বৃষ্টি, রোদও পাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে সামনে খেলাটা এগোলে বোঝা যাবে, উইকেট কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে।’