কাঁধের চোটের কারণে বিশ্বকাপের পর থেকে খেলায় ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। বিপিএল ছিল তাঁর ক্রিকেটে ফেরার মঞ্চ। ফরচুন বরিশালের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকায় সেই মঞ্চ আলোকিত করছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ৫১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ২১২ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিই বলে দেয়, মাহমুদউল্লাহ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফর্ম (৭ ইনিংসে ৩২৮ রান) এখনো ধরে রেখেছেন।
এবারের বিপিএলে শুধু ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহকে নিয়েই আলোচনা হচ্ছে না। ফিল্ডিংয়েও এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের উন্নতি চোখে পড়ছে। এতটাই যে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস সরাসরিই বলে দিয়েছেন, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য মাহমুদউল্লাহ ‘অটো চয়েস’।
আজ দুর্দান্ত ঢাকার কোচ ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদের কথায়ও সেই সুর। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকার অনুশীলন শেষে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গ ধরে তিনি বললেন, ‘খারাপ হচ্ছে না। হয়তো আরও ভালো হতে পারে। প্রতিযোগিতাপূর্ণ টুর্নামেন্টই হচ্ছে। আমি ভালোটাই দেখি। আমাদের ছেলেদের পারফরম্যান্সটা…শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ যেভাবে ব্যাটিং করল, সেটা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে, বিশেষ করে তরুণদের জন্য। ডেথে গিয়ে এ রকম ব্যাটিং করা, ফ্রি ব্যাটিং করা, দারুণ!’
মাহমুদ এমনও মনে করেন, ফিনিশার হিসেবে এখনো মাহমুদউল্লাহর চেয়ে ভালো খেলোয়াড় বাংলাদেশে তৈরি হয়নি। তাঁর মুখেই শুনুন, ‘তার যে অভিজ্ঞতা, যে ছন্দে আছে, আমার মনে হয় ওর জায়গায় চ্যালেঞ্জ করার মতো কোনো প্লেয়ার নেই। অবশ্যই রিয়াদ টি-টোয়েন্টি দলের বিবেচনায় আসতে পারে।’
মাহমুদউল্লাহ সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২২ সালের এশিয়া কাপে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তারও এক বছর আগে। কিন্তু মাহমুদ এখনো মাহমুদউল্লাহকে তিন সংস্করণের খেলোয়াড় মনে করেন, ‘আমি তো সব সময়ই বলি, মাহমুদউল্লাহ তিন সংস্করণেই খেলার মতো যোগ্য খেলোয়াড়। আমার খুব কষ্ট হয় যে মাহমুদউল্লাহ টেস্ট খেলে না। সে যে অবসর নিয়েছে, সেটা আমি কোনোভাবেই এখনো মানতে পারি না। আমি এখনো মনে করি, ওর টেস্ট খেলার মতো সামর্থ্য আছে। বাংলাদেশে এমন একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অনেক দরকার।’
টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেছেন, ‘হয়তো ব্যক্তিগত কারণে বা বয়সও একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সে জন্য ও সাদা বলের দিকে মনোযোগী হচ্ছে, সেটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে এটা রিয়াদের সিদ্ধান্ত।’