যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

গাজী আশরাফ বললেন—পেইনফুল, দুঃখজনক, হতাশার

বিশ্বকাপের আগে ব্যাটসম্যানদের ফর্মে ফেরার সুযোগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন টি–টোয়েন্টির সিরিজ। কিন্তু তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং হয়েছে ব্যর্থ। দুই ম্যাচেই বাজেভাবে হেরে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ খুইয়ে বসেছে নাজমুল হোসেনের দল।

বিশ্বকাপের ঠিক আগে প্রস্তুতিমূলক সিরিজে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে এমন হার বাংলাদেশ দলের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়ে তিনটি শব্দ ব্যবহার করেছেন— পেইনফুল, দুঃখজনক, হতাশার।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশিত ফর্মে সবাই নেই, এটা দুঃখজনক। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলও করতে পারছি না। হতাশাজনকই বলব, দুটি ম্যাচেই জেতার মতো অবস্থায় ছিলাম।’

জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের কথা, ‘প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ের কারণে পিছিয়ে গেছি। শেষ দিকে ওভারপ্রতি ১৫ রান করে লাগত। অন্যতম সেরা বোলাররাই ছিল। টি-টোয়েন্টির টুইস্টে আমরা পারিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২ উইকেট হারিয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। শান্ত (নাজমুল) ও হৃদয় ব্যাট করছিল, জয়কে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ৩ বল বাকি থাকতেই পরাজয়। নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তার কারণ, হতাশার কারণ।’

ব্যাটসম্যানদের ফর্ম নিয়ে গাজী আশরাফ বলেন, ‘এখান থেকেই কিছু ব্যাটসম্যান ফর্মের বাইরে। এ ক্ষেত্রে একটা চাপ তৈরি হয়েই যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে প্যানিক সিচুয়েশন অথবা পরিস্থিতির আলোকে ব্যাটিং করেনি ওরা। যেকোনো এক প্রান্তে একজন দাঁড়িয়ে গেলে অনায়াসে ম্যাচটা জিততে পারতাম। বড় রান তাড়া না করে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করলে ম্যাচটা সহজেই জিততে পারতাম। এটা খুবই পেইনফুল, দুঃখজনক, হতাশার। সঠিক সময়ে নিজেদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারার ব্যর্থতা।’

তবে আসন্ন বিশ্বকাপে এই ব্যর্থতা হবে অতীত স্মৃতি, এমন আশা প্রধান নির্বাচকের। তবে সেটা বিশ্বকাপে চমকপ্রদ কিছু করতে পারলেই সম্ভব বলে মন্তব্য তাঁর, ‘আমরা কেউ আশা করিনি দলটাকে এমন পরিস্থিতি দিয়ে সফর শুরু করতে হবে। তবে এটাই বাস্তবতা। এই সিরিজ শেষে ১২ দিনের মতো সময় থাকবে। দ্রুত এই ফলাফল থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তারা জানে, বিশ্বকাপে দল ভালো করলে এটা হবে অতীত স্মৃতি।’

বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলবে ৭ জুন (বাংলাদেশে ৮ জুন সকাল ৬টা ৩০ মিনিট), শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এর আগে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। মাঝের সময়টা ভুলভ্রান্তি শোধরাতে কাজে লাগাবেন নাজমুলরা, প্রধান নির্বাচকের সেটাই প্রত্যাশা, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়, দল, দেশ, মানুষ আশা রাখছে দল যেন ভালো করে। এই প্রত্যাশা থাকবে। অনেকেই সাংঘাতিকভাবে হতাশ। দল পারফরম্যান্সও করেছে হতাশাজনক। কয়েক দিন অনুশীলনের সুযোগ পাব, সাথে দুটি ওয়ার্মআপ ম্যাচ, সেখানে উইকেটে খেলারও সুযোগ পাব। আমার বিশ্বাস, তারা আস্থার জায়গাটা ফিরে পাবে। ফর্ম যথেষ্ট ভালো না–ও হতে পারে, তবে আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারবে।’