পাকিস্তানের জন্য ম্যাচটি ছিল সিরিজ বাঁচানোর আর নিউজিল্যান্ডের জন্য সিরিজ জয়ের। পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-২-এ ড্র করেছে পাকিস্তান।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ম্যাচটি মূলত জিতেছে বাবর আজমের দায়িত্বশীল ব্যাটিং আর শাহিন আফ্রিদির অসাধারণ বোলিংয়ে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানকে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান তুলতে সাহায্য করেছে বাবরের ফিফটি। এরপর নিউজিল্যান্ডকে ১৯.২ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট করতে ৪ উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি।
ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলের রান তখন মাত্র ৮। বাবর আজম এরপর জুটি গড়েন উসমান খানের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাবরের সঙ্গে ৭৩ রান তুলে আউট হয়ে ফেরেন তিনিও। আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩২ রান করেছেন উসমান।
বাবর এরপর জুটি গড়েন ফখর জামানের সঙ্গে। বাবর-ফখরের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪২ রান। জুটি ভাঙে বেন সিয়ার্সের বলে বাবর বোল্ড হয়ে ফিরলে। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৬৯ রান করেন বাবর। ফখর জামান আউট হয়েছেন ৩৩ বলে ৪৩ রান করে।
এরপর বড় আর কোনো জুটি হয়নি। তবুও পাকিস্তান ১৭৮ রান তুলতে পারে শাদাব খানের ৬ বলে অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংসে।
রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। টম ব্ল্যান্ডেলকে তুলে নেন আফ্রিদি। দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য টিম সেইফার্ট ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ৪৫ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসটাকে পথে রাখেন।
কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্য পেরোতে পারেনি কিউইরা। সেইফার্ট ৩৩ বলে ৫২ রান করে আউট হয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৮ রান করেছেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা জশ ক্লার্কসন। আফ্রিদি ৪ উইকেট নিতে ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩০ রান। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন তিনিই। সিরিজ সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি।