অবশেষে বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হলো। তবে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপের মঞ্চে হারাতে পারলে দারুণ ব্যাপার হতো। বাংলাদেশ দল কাল বড় জুটি গড়তে পারেনি, অথচ ওপেনারদের সৌজন্যে দারুণ একটা মঞ্চ পেয়েছিল তারা। তবু ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের অর্জন মাত্র ৬৭ রান। বোলাররাও, বিশেষ করে স্পিনাররা উইকেট নিতে ও জুটি ভাঙতে ব্যর্থ হলো। ব্যাটিং না হলেও বোলিংয়ে সাকিবকে মিস করেছি। অবশ্য বাংলাদেশের পুরো বিশ্বকাপই তো এ রকম টানাপোড়েনে কেটেছে। তবে মিচেল মার্শের ইনিংসের প্রশংসা করতেই হয়।
লিটনকে নিয়ে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। আক্রমণাত্মক মানসিকতা অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে বড় ইনিংস খেলতে চাইলে আরও গুছিয়ে খেলতে হবে। শর্ট পিচ বলে কিছুটা দুর্বলতা আছে বলে মনে হলো।
প্রথম উইকেট জুটিতে তানজিদের মতো লিটনেরও সমান কৃতিত্ব। তবে তানজিদের আউটের পর নাজমুলের সঙ্গে নতুন জুটি গড়ায় মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল। আলগা শট খেলে আউট হলো।
শুরুতে একটু তাড়াহুড়া করার প্রবণতা আছে। রানআউট হওয়ার আগপর্যন্ত চমৎকার খেলছিল। বড় ইনিংসের সব লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল তার ব্যাটে।
আক্রমণ ও রক্ষণ—এই দুইয়ের চমৎকার সংমিশ্রণে গড়া গতকালের ইনিংস। ৩০৬ রানের দলীয় সংগ্রহ হৃদয়ের ৭৪ রানের ইনিংস ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে।
আজকাল ওকে আর কয়েকটা বল খেলে সেট হতে হয় না। শুরু থেকেই ব্যাটে–বলে হওয়াটা লক্ষনীয়। রানআউট না হলে বিশ্বকাপের শেষ ইনিংসটাকে আরও রঙিন করে তুলতে পারত।
ইনিংসটা আরও কার্যকর হতে পারত। যখন আউট হয়েছে, তখন আরও ৭ ওভার বাকি। দল যে অবস্থায় ছিল, তাতে শেষ পর্যন্ত থাকা জরুরি ছিল।
তার ২৯ রানের ক্যামিও ছাড়া তিন শতাধিক রান করা কঠিন হতো। তবে বোলিং আরও ভালো আশা করেছিলাম।
বল হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ব্যাটিংয়ে আশা ছিল তার হাত ধরে কিছু রান আসবে, সেটিও হয়নি।
একমাত্র বোলার যেকোনো ব্যাটসম্যানকে হাত খুলে খেলতে দেয়নি। ফ্ল্যাট উইকেটে অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং।
শুরুতেই উইকেট নিয়ে মোমেন্টাম নিজেদের দিকে আনলেও পরবর্তী সময়ে আর উইকেট না পড়ায় সেটি আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। বোলিং সন্তোষজনক।
ওয়ার্নারের উইকেট নিয়ে জুটি ভাঙলেও তা কাজে আসেনি। আরও কার্যকর বোলিং আশা করেছিলাম।