আইপিএলে সর্বশেষ ৮ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে এমন দেখা গেছে। কি? ম্যাচে দুই ইনিংসের মধ্যে অন্তত একটিতে দুই শ রানের স্কোর। আজ সেই ধারায় ছেদ পড়ল। ইডেন গার্ডেনে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বরুণ চক্রবর্তী-হর্ষিত রানাদের বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১৫৩ রানে থেমেছে দিল্লির ইনিংস। তাড়া করতে নেমে ২১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে কলকাতা।
দিল্লির ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই। টপ অর্ডার উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। নয় নম্বরে নামা বাঁহাতি কবজির স্পিনার কুলদীপ যাদব ২৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। ১৩.৩ ওভারে ১০১ রানে ৭ উইকেট দিল্লি যখন ধুঁকছিল, তখন কুলদীপ নেমে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। অধিনায়ক ঋষভ পন্তের ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭। এর আগে ১৩ ওভারের মধ্যে ১০০ রান তুলতেই ৭টি উইকেট হারায় দিল্লি। ইনিংসের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে যথাক্রমে পৃথ্বী শ, ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ও শাই হোপকে হারিয়ে চাপে পড়া দিল্লি আর হাত খুলে ব্যাট করতে পারেনি।
স্বল্প রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছে কলকাতা। ৬.১ ওভারে সুনীল নারাইন আউট হওয়ার আগে ফিল সল্টের সঙ্গে তুলেছেন ৭৯। অবশ্য এই জুটিতে সল্টের একার অবদানই ২৮ বলে ৬০। নারাইন ১০ বলে ১৫ রান করে আউট হন।
৫ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৩ বলে ৬৮ রান করা সল্ট ৯ম ওভারে দিল্লির স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের ‘আর্ম’ বলে বোল্ড হন। চতুর্থ উইকেটে কলকাতা অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার (৩৩*) ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের (২৬*) অবিচ্ছিন্ন ৫৭ রানের জুটিতে ভর করে জিতেছে কলকাতা।
৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় কলকাতা। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ দিল্লি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১৫৩/৯ (কুলদীপ ৩৫, পন্ত ২৭, অভিষেক ১৮, অক্ষর ১৫, পৃথ্বী শ ১৩; বরুণ ৩/১৬, হর্ষিত ২/২৮, বৈভব ২/২৯)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৬.৩ ওভারে ১৫৭/৩ (সল্ট ৬৮, শ্রেয়াস ৩৩*, ভেঙ্কটেশ ২৬*, নারাইন ১৫ ; অক্ষর ২/২৫, উইলিয়ামস ১/৩৮)
ফল: কলকাতা ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: বরুণ চক্রবর্তী (কলকাতা নাইট রাইডার্স)