শাহিন শাহ আফ্রিদিকে সরিয়ে আবার অধিনায়ক করা হয় বাবর আজমকে
শাহিন শাহ আফ্রিদিকে সরিয়ে আবার অধিনায়ক করা হয় বাবর আজমকে

বিশ্বকাপ-ভরাডুবির পর ঝুলে আছে বাবরদের ভাগ্য

পাকিস্তানের সীমিত ওভারের অধিনায়ক বাবর আজম ও নির্বাচক কমিটির ভাগ্য ঝুলে আছে এখনো। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি ধাপ এগিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সের প্রতিবেদন বোর্ডে জমা দিয়েছেন প্রধান কোচ গ্যারি কারস্টেন ও নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরে কার্যত তিন ম্যাচ পরই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের। বিশ্বকাপ-ভরাডুবির পর ব্যাপক রদবদল সাধারণত পাকিস্তান ক্রিকেটে নিয়মিত ঘটনা। এবারও ‘সার্জারি’ দরকার, এমন কথা উল্লেখ করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। তবে জানা গেছে, বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এবার সময় নিতে চায় পিসিবি।

পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপে গিয়েছিল বড় রদবদলের পরই। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পিসিবির চাপে নেতৃত্ব ছাড়া বাবর আজমকে আবার সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়। এক সিরিজ পরই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। আফ্রিদিকে সরিয়ে বাবরকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত মূলত নাকভিরই ছিল। বিশ্বকাপের আগে প্রধান কোচ হিসেবে কারস্টেনকেও আনা হয়।

পাকিস্তানের প্রধান কোচ গ্যারি কারস্টেন বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের প্রতিবেদন বোর্ডের কাছে জমা দিয়েছেন

ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আনার ব্যাপারটি একেবারে নাকচ করে দিচ্ছে না পিসিবি। আবার বাবরকে রাখার ব্যাপারটিও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। মূলত বাবরকে সরিয়ে দিলে কে অধিনায়কত্ব করবেন, এমন জুতসই কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভরাডুবির পর দেশটিতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বাবরের অধীনে রক্ষণাত্মক ক্রিকেটে খেলেছে দলটি, সে আলোচনা আছে। এর পাশাপাশি নির্বাচক কমিটির দিকেও সে সমালোচনার তির ছুটছে। শাদাব খানের ফর্ম না থাকার পরও দলের সঙ্গে থাকা বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনার আবরার আহমেদকে কেন খেলানো হলো না, প্রশ্ন আছে সেটি নিয়ে। এখনকার নির্বাচক কমিটিতে আছেন সাতজন। খাতা–কলমে কেউ প্রধান না হলেও ওয়াহাবের প্রভাব সবচেয়ে বেশি বলেই ধরে নেওয়া হয়। বিশ্বকাপে দলের সিনিয়র ম্যানেজারও ছিলেন সাবেক এ পেসার।

অবশ্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পিসিবি সময় পাবে। আগামী নভেম্বরে আগে সীমিত ওভারের কোনো সিরিজ নেই পাকিস্তানের। সে মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা দলটির। এর আগে আগামী মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে পাকিস্তান দল।