বিরাট কোহলি, জো রুট, স্টিভেন স্মিথ ও কেইন উইলিয়ামসন—সময়ের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে ‘ফ্যাব ফোর’ বলা হয় তাঁদের। তবে সাম্প্রতিক ফর্মে কিছুটা পিছিয়েই পড়েছিলেন শেষের দুজন। গত এক মাসের মধ্যে রুট, কোহলি সেঞ্চুরি করলেও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারছিলেন না স্মিথ ও উইলিয়ামসন। এর মধ্যে স্মিথ গতকালই ব্রিসবেনে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন। উইলিয়ামসনই–বা বাকি থাকবেন কেন?
অবশেষে আজ সেঞ্চুরি-খরা কাটিয়েছেন উইলিয়ামসনও। নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছেন ১৫৬ রানের ইনিংস।
উইলিয়ামসনের ৩৩তম সেঞ্চুরির দিনে ইংল্যান্ডকে রানচাপা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫৩ রান তুলে বেন স্টোকসদের চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ৬৫৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে টম ল্যাথামের দল।
যে রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ৬ ওভার ব্যাট করে ১৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
এর আগে দিনের শুরুতে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রথম সেশনে কোনো খেলাই হয়নি। আগের দিন ৫০ রানে অপরাজিত থাকা উইলিয়ামসন আজ দিনের দ্বিতীয় সেশনে জ্যাকব বেথেলকে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান। পরে ইনিংসটিকে টেনে নিয়ে যান দেড় শতেও।
উইলিয়ামসন স্পিনার শোয়েব বশিরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের রান চার শ পার করান টম ব্লান্ডেল, ড্যারিল মিচেল ও মিচেল স্যান্টনাররা। মিচেল ৬০, স্যান্টনার ৪৯ এবং ব্লান্ডেল অপরাজিত ৪৪ রান করেন।
দিনের শেষ বেলায় টিম সাউদির বলে বেন ডাকেট আর ম্যাট হেনরির বলে জ্যাক ক্রলি ফিরলে বড় হারের শঙ্কা নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য স্টোকসদের দরকার এখনো ৬৪০ রান, নিউজিল্যান্ডের ৮ উইকেট।
তিন টেস্ট সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড: ৩৪৭ ও ১০১.৪ ওভারে ৪৫৩
(উইলিয়ামসন ১৫৬, মিচেল ৬০, ইয়াং ৬০; বেথেল ৩/৭২, স্টোকস ২/৫২)।
ইংল্যান্ড: ১৪৩ ও ৬ ওভারে ১৮/২
(বেথেল ৯*, ক্রলি ৫, ডাকেট ৪, রুট ০; সাউদি ১/৪, হেনরি ১/১৪)
* ৩য় দিন শেষে।