বড় মঞ্চে চাপে ভেঙে পড়া, একের পর এক সেমিফাইনাল হেরে যাওয়া, ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা তো এমনই। এ কারণেই তো প্রোটিয়াদের কপালে জুটেছে চোকার অপবাদ। তবে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে অবশেষে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু ফাইনালে পৌঁছানোটাই শেষ কথা নয়, এবার তারা জিততে চায় প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। কাজটা সহজ হবে না। ফাইনালে তারা খেলবে ভারতের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো তারাও এবারের বিশ্বকাপে অপরাজিত। তবে ফাইনালে ওঠার পথে ভারত সব ম্যাচই জিতেছে কঠিন লড়াই ছাড়া। ভারতের বিপক্ষে এই কঠিন পরীক্ষায় পাস করার টোটকা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার মরনে মরকেল।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে মরকেল বলেছেন, ‘আপনাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা জানে যশপ্রীত বুমরা শুরুতে উইকেট নিতে পারে। ডেথ ওভারে সে দুই ওভার বোলিং করে, তখনো সে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাহলে তারা কি একটু শুরু থেকেই চালিয়ে খেলার চেষ্টা করবে, যাতে একটা ভালো সংগ্রহ তুলতে পারে?’
বুমরার ফর্ম মাথায় রেখেই মরকেল এমন কথা হয়তো বলেছেন। সময়ের এই সেরা পেসারের বিপক্ষে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা কেমন খেলেন, তার ওপর ম্যাচের ফল অনেকটাই নির্ভর করছে। এবারের টুর্নামেন্টে বুমরাকে স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যানই। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ২৫.৪ ওভারে বোলিং করেছেন বুমরা। ৪.১২ ইকোনমি রেটে উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। ওয়ানডে ক্রিকেটেও এটাকে খুব ভালো বলতে হবে। এ ছাড়া ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন সময়েই বল করে থাকেন বুমরা।
শুরু ও শেষে ভারতের আছেন বুমরা। আর মাঝের ওভারে আছেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। ৪ ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া এই স্পিনারকেও মাথায় রাখতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
মরকেলের কথাতে তাই উঠে এসেছে কুলদীপের বিষয়টিও। এসব নিয়ে অবশ্য খুব বেশি ভাবতে নিষেধ করেছেন মরকেল, ‘সত্যি বলতে, এসব নিয়ে বেশি ভাবা যাবে না। মাঝের ওভারে কুলদীপ অবিশ্বাস্য, উইকেটশিকারি। ও খেলাটা থামিয়ে দিতে পারে, অনেক চাপ তৈরি করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্নায়ুর চাপ নিতে হবে, ওসব সমীকরণ দূরে সরিয়ে রেখে প্রতিটি বলে মনোযোগ দিতে হবে।’