আঙুলে চোট পেয়ে আফগানিস্তান সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন মুশফিকুর রহিম। ৯ ও ১১ নভেম্বর সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে খেলা হবে না তাঁর। এমনকি এ মাসেই শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও মুশফিকের খেলা হচ্ছে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
গতকাল শারজায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের ইনিংসের শেষ দিকে উইকেটকিপিং করার সময় বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট পেয়েছেন মুশফিক।
বাংলাদেশ দলের ফিজিও দেলোয়ার হোসেনকে উদ্ধৃত করে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, প্রথম ম্যাচে উইকেটকিপিং করার সময় বাঁ হাতের তর্জনীর ডগায় ব্যথা পেয়েছেন মুশফিক। ম্যাচ শেষে করানো এক্স-রে জানিয়েছে, তাঁর তর্জনীর হাড় ফেটে গেছে।
আঙুলের এই চোটের কারণেই গতকাল প্রথম ম্যাচে মুশফিক ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। কিন্তু মাত্র ৩ বল খেলেই গজনফরের ক্যারম বল বুঝতে না পেরে ১ রানে স্টাম্পিং হয়ে যান তিনি।
২০১৫ বিশ্বকাপে মেলবোর্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের পর এই প্রথম তিনি ছয়ের নিচে ব্যাটিং করলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ সময় চার-পাঁচেই ব্যাটিং করেছেন মুশফিক। গত বছর দেড়েক বেশি খেলেছেন ছয়ে।
মুশফিকের পুরোপুরি সুস্থ হতে যেহেতু ছয় সপ্তাহের মতো সময় লেগে যাবে, আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও তাঁর খেলা অনিশ্চিত মনে হচ্ছে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনের কাছে, ‘মেডিকেল টিম থেকে যা জেনেছি, তাতে মুশফিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেলতে পারবে কি না, সন্দেহ আছে। টেস্ট তো খেলতেই পারবে না।’
ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের আগে মুশফিকের পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমই। ওদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দুটি শুরু হবে ২২ ও ৩০ নভেম্বর। ৮ ডিসেম্বর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ, শেষ ওয়ানডে ১২ ডিসেম্বর। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজ থাকলেও এই সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন মুশফিক।
এর আগে পাকিস্তান সফরেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সময় আঙুলে চোট পেয়েছিলেন মুশফিক। সেই চোট অতটা মারাত্মক না হলেও পরে আবার চোট পান কাঁধেও। ভারত সফর ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তাই মুশফিক খেলেছেন বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে।
মুশফিকের জন্য কোনো বিকল্পও পাঠাবে না বিসিবি। তবে অসুস্থতার কারণে আফগানিস্তান সিরিজের দলে না থাকলেও কাল শারজায় যাচ্ছেন লিটন দাস। উদ্দেশ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য সেখান থেকে দলের সঙ্গী হওয়া। লিটন অবশ্য এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। আফগানিস্তান সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে তাঁর স্কোয়াডে ঢোকার সম্ভাবনা নেই।